পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ না ! এ :রলের পথ নয়, জাহাজের পথ। কলকাতা হয়ে যেতে হবে । তা ছাড়া— ব্ৰজবাবুকে কথা দিয়ে এলাম, পরশু সকালে তার সঙ্গে নিশ্চয়ই দেখা করবো। স্বতরাং কালকের দিনটা অপেক্ষা না করে তো উপায় নেই। অবশু রাতের ট্রেনেই আমরা মধুরা ছাড়তে পারবো— ५ সবিত বালিকার স্থায় ব্যাকুল হইয়া বলিলেন, না না, আমি পারবে না। আমার কম আটকে আগচে এখানে। এদেশ থেকে আমাকে তুমি চিরদিনের মতো বহু দূরদেশে নিয়ে চলে । বহুদূরে—যেখানে রীতি, নীতি, সমাজ, মানুষ সবই অন্তরকম। আমি মুছে ফেলবো আমার সমস্ত অতীত ! তাকে এমন করে আমার জীবন দখল করে থাকতে আর দেবো না আমি— বিমলবাবু কোনও উত্তর দিলেন না। সবিতার মনের অবস্থা বুঝিয়া চুপ করিয়া রছিলেন । পরদিন প্রাতে বিমলবাবু ঘুম হইতে উঠিয়া দেখিলেন, সবিতার শয়ন-কক্ষের দ্বার তখনও বন্ধ। বিমলবাবু চিরদিনই একটু বেশি বেলাতে ওঠেন। কিন্তু সবিতার ভোরে ওঠাই অভ্যাস। এত বেলাতেও সবিতার শয়নকক্ষের দ্বার রুদ্ধ দেখিয়া তিনি শক্ষিত হইলেন। দুয়ারের সম্মুখে দাড়াইয়া দ্বারে ধাক্কা দিবেন কি না ভাবিতেছেন, এমন সময় দুয়ার খুলিয়া সবিতা বাহির হইলেন। দুই চক্ষু রক্তবর্ণ, রাত্ৰিজাগরণের ক্লান্তি ও কালিম চোখে-মুখে নিবিড় রেখায় ফুটিয়া উঠিয়াছে। মরণাপন্ন রোগী লইয়া স্বদীর্ঘ রজনী মৃত্যুর সহিত যুঝিবার পর প্রভাতে নারীর মুখের চেহারা যেমন বদলাইয়া যায়, এক রাজিতেই সবিতার মুখে যেন সেই ছবি ফুটিয়া উঠিয়াছে। বিমলবাবু একবার সবিতার পানে তাকাইয়া ব্যথিত দৃষ্টি অগুদিকে ফিরাইয়া লইলেন। কিছুই প্রশ্ন করিলেন না। সবিতা ঈষৎ লজ্জিত হইয়া বলিলেন, অনেক বেলা হয়ে গেছে দেখচি। তুমি চা পাওনি নিশ্চয় । কাপড় কেচে এসে আমি তৈরি করে দিচ্চি এখুনি। রিমলবাবু বলিলেন, ঠাকুর চা করে দিক না আজ সবিতা ? সবিতা বলিলেন, না না, সে ভালো তৈরি করতে পারে না। আমার দেরি হবে না বেশি। তার পরে নিজেই কৈফিয়ভের ভঙ্গিতে সহজ গলায় কছিলেন, রাত্রে ভালো ঘুম হয়নি। কাল মেজাজ এমন বিগড়ে গেছলো, মাথা ধরে ওঠে, রাত্তিরের ঘুমটি মাঝে থেকে মাটি হলো আর কি। যাই চটু করে স্নানটা সেৱে জালি। সবিতা গামছা হাতে লইয়া জানকক্ষের দিকে চলিয়া গেলেন। বিমলবাবু জগুমনস্ক চিত্তে ভাবিতে লাগিলেন, কতখানি নিদারুণ হতাশা ও মর্থবেদনায় মাছুষের চেহারা अकब्राह्खच्च शरथा ७ङथाबि ग्नांन ७ दिसक शहै८छ नॉरव्र ! 8Φθ