পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ মা-শোয়ে তাহার পিছনে আসিয়া দাড়াইয়াছে। সে ওড়নার প্রাপ্ত দিয়া নিঃশব্দে তাহার চোখ মুছাইয়া দিল এবং পাশে বসিয়া তাহার ডান হাতটা নিজের হাতের মধ্যে টানিয়া লইয়া চুপি চুপি বলিল, বাবা মরিয়াছেন, কিন্তু তোমার মা-শোয়ে এখনও বাচিয়া আছে। ९ বা-খিন ছবি আঁকিত। তাহার শেষ ছবিখানি সে একজন সওদাগরকে দিয়া রাজার দরবারে পাঠাইয়া দিয়াছিল। রাজা ছবিখানি গ্রহণ করিয়াছেন এবং খুলী হইয়া রাজ-হন্তের বহুমূল্য অজুরী পুরস্কার করিয়াছিলেন। আনন্দে মা-শোয়ের চোখে জল আসিল, সে তাহার পাশে দাড়াইয়া মৃন্ধু-কণ্ঠে কহিল, বা-থিন, জগতে তুমি সকলের বড় চিত্রকর হইবে। বা-খিন হাসিল, কহিল, বাবার ঋণ বোধ হয় পরিশোধ করিতে পারিব। উত্তরাধিকার-সুত্রে মা-শোয়েই তাহার একমাত্র মহাজন। তাই এ-কথায় সে সকলের চেয়ে বেশি লজ্জা পাইল। বলিল, তুমি বার বার এমন করিয়া খোটা দিলে আর আমি তোমার কাছে আসিব না। বাথিন চুপ করিয়া রহিল। কিন্তু খণের দায়ে পিতার মুক্তি হইবে না, এতবড় বিপত্তির কথা স্মরণ করিয়া তাহার অন্তরটা যেন শিহরিয়া উঠিল। বা-থিনের পরিশ্রম আজ-কাল অত্যন্ত বাড়িয়াছে। জাতক হইতে একখানা নূতন ছবি আঁকিতেছিল, আঙ্গ সারাদিন মুখ তুলিয়া চাহে নাই। মা-শোয়ে প্রত্যহ যেমন আসিত, আজিও তেমনি আসিয়াছিল। বা-থিনের শোবার ঘর, বসিবার ঘর, ছবি আঁকিবার ঘর সমস্ত নিজের হাতে সাজাইয়া-গুছাইয়া স্বাইত। চাকর-দাসীর উপর এ কাজটির ভার দিতে তাহার কিছুতেই সাহস হইত না। সম্মুখে একখানি দর্পণ ছিল, তাহারই উপর বা-থিনের ছায়া পড়িয়াছিল। মা-শোয়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত একদৃষ্টি চাহিয়া থাকিয়া হঠাৎ একটা নিশ্বাস ফেলিয়া কহিল, বাখিন, তুমি আমাদের মত মেয়েমাচুব হইলে এতদিন দেশের রাণী হইতে পারিতে। বা-খিন মুখ তুলিয়া হালি-মুখে বলিল, কেন বল ত ? রাজা তোমাকে বিবাহ করিয়া সিংহাসনে লইয়া যাইতেন। র্তাহার অনেক রাণী, কিন্তু এমন রঙ, এমন চুল, এমন মুখ কি তাহাদের কাহারও আছে ? এই বলিয়া সে কাজে মন দিল, কিন্তু বা-থিনের মনে পড়িতে লাগিল, মান্দালেতে সে যখন ছবি वैोक विषिष्ठझिल, उषंबe ७बनि कवीं ऊांशटक यांहक बांटक उनिtङ ङ्हेङ ।