পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছবি فيديو श्वउ वा न उाशब छूणिर्पे कणिका शिष्ठ कथनe हिइ रहेह बान, कर्षन७ वा অস্থির ত্রু উপদে ঘরের মধ্যে ঘুরিয়া বেড়ায়, কখনও বা নিদ্রাবিহীন তপ্ত শয্যায় পড়িয়া সারারাত্ৰি জলিয়া পুড়িয়া মরে, কখনও বা–কিন্তু থাক সে-সব। কল্পনায় এতদিন মা-শোয়ে একপ্রকার তীক্ষ জানন্দ অনুভব করিতেছিল, কিন্তু আজ তাহার হঠাৎ মনে হইতেছিল কিছুই না-কিছুই না। তাহার কোন কাজই তাহার কোন বিশ্ন ঘটায় না । সমস্ত মিথ্যা, ফাকি । সে ধরিতেও চাহে না— ধরা দিতেও চাহে না। ওই কেমন দুৰ্ব্বল দেহটা অকস্মাৎ কি করিয়া যেন একেবারে পাহাড়ের মত কঠিন ও অচল হইয়া গিয়াছে—কোথাকার কোন ঝঞ্চাই জায় তাহাকে একবিন্দু বিচলিত করিতে পারে না। কিন্তু, তথাপি জন্মতিথি-উৎসবের বিরাট আয়োজন আড়ম্বরের সঙ্গেই চলিতেছিল। পো-থিন আজ সর্বত্র, সকল কাজে । এমন কি, পরিচিতদের মধ্যে একটা কানা-যুদ্ধ চলিতেছিল যে একদিন এই লোকটাই এ-বাড়ির কর্তী হইয়া উঠিবে—এবং বোধ হয়, সেদিন বড় বেশী দূরেও নয়। গ্রামের নর-নারীতে বাড়ি পূর্ণ হইয়া গিয়াছে, চারিদিকেই আনন্দ কলরব। শুধু যাহার জন্ত এই-সব, সেই মানুষটিই ৰিমনা—তাহারই মুখ নিরানন্দের ছায়ায় আচ্ছন্ন। কিন্তু এই ছায়া বাহিরের কাহারে প্রায় চোখে পড়ে না-পড়িল কেবল বাটীর দুই-একজন সাবেকদিনের দাস-দাসীর । আর পড়িল বোধহয় তাহার-যিনি অলক্ষ্যে থাকিয়াও সমস্ত দেখেন। কেবল তিনিই দেখিতে লাগিলেন, ওই মেয়েটির কাছে আজ সমস্তই শুধু বিড়ম্বনা। এই জন্মতিথির দিনে প্রতিবৎসর যে লোকটি সকলের আগে গোপনে তাহার গলায় আশীৰ্ব্বাদের মালা পরাইয়া দিত, আজ সে লোক নাই, সে মালা নাই, সে আশীৰ্ব্বাদের আজ একাত্ত ठाउछांद ॥ মা-শোয়ের পিতার আমলের বৃদ্ধ আসিয়া কহিল, ছোটমা, কই তাহাকে ত দেখি না ? বুড়া কিছুকাল পূৰ্ব্বে কর্থে অবসর লইয়া চলিয়া গিয়াছিল, তাহার ঘরও অন্ত গ্রামে—এই মনাস্তরের খবর সে জানিত না। আজ আসিয়া চাকর-মহলে শুনিয়াছে। মা-শোয়ে উদ্ধতভাবে বলিল, দেখিবার দরকার থাকে, তাহার বাড়ি যাও— আমার এখানে কেন ? বেশ, তাই যাইতেছি, বলিয়া বৃদ্ধ চলিয়া গেল। মনে মনে বলিয়া গেল, কেবল তাহাকে একাকী দেখিলেই ত চলিবে না—তোমাদের দুজনকেই আমার একসঙ্গে দেখা চাই । নইলে এতটা পথ বৃথাই ইটিয়া জালিয়াছি। - কিন্তু বুড়ার মনের কথাটি এই নবীনার অগোচৰে বুলি না। সেই অবধি এক 沙●