পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ििछङ्ग क्लर्मादझैँ বাঙলার গ্রন্থকায় বলে আপনারা আমাকে ভালবাসেন, জানালেন, সেইটাই জামি এখান থেকে নিয়ে যাব । রাজনীতি ব্যাপারে জড়িয়ে পড়েচি বলে সেইটাই আমার সব নয়। আমার শক্তি-সামর্থ্য একদিক দিয়েই চলে—এই সাহিত্যের দিক দিয়ে। আমার সঙ্গীদের বলেছিলুম,—এইখানে একটু সাহিত্যের আলোচনা হতো—আমি মনের একটা তৃপ্তি সেইদিক দিয়ে পেতুম ! অকস্মাৎ আপনাদের নিকট এইখান থেকে তাই পেয়ে গেলুম। বাস্তবিক আমি কৃতাৰ্থ মনে করচি। যে-সব বাঙালী এইখানে আছেন, তারা যে আমাকে ভোলেননি, নানা কাজের ভিতর দিয়ে ধারা ৰাঙলাতে যেতে পারেন না, তবু বাঙলার সঙ্গে তাদের পরিচয় আছে—তাদিকে জাভরিক ধন্যবাদ। আমি বাঙলা ভাষার দিকে যা দেখেচি সেইটে নানাভাবে দেখাই, আপনারাও তা দেখতে পান। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি,—সত্যই প্রার্থনা করুন যেন এত বড় ভাষাকে,—যাকে রবীন্দ্রনাথ এত বড় করে তুললেন, তাকে যেন আরও বড় করা হয়। খুব বেশী বয়সেই আমি লেখা আরম্ভ করি। অনেকগুলো বইও লিখলাম। গালি-গালাজও হ'লো। তার মধ্যে যে কিছু আছে, তার প্রমাণ আজ আপনার দিলেন। - পৃথিবীর সবাই আজ স্বীকার করেচে, ভাষার দিক দিয়ে আমরা কিছুতেই ছোট নই। আগে যারা বাঙলা পড়তেন না, তারাও আজ বাঙলা পড়েন। এই ভাষা যে আজ কত বড় হয়েচে তার আর তুলনা আছে ? একটা দিক বাঙলার আছে যেখান দিয়ে সে দাড়াতে পারে। আমার বয়সও হ’লো, আর কতদিনই বা চলবে। তবে যেটা রইল, সেটা জমা হয়ে রইল, সেটাকে যেন বরাবর বড় করবার চেষ্টা করা হয়। আমাদের স্বাধীনতা নেই, তার জন্য আমরা লজ্জিত হয়ে থাকি। চোখে দেখি, গৃহস্থ ভদ্রলোক, তাদের কত দুর্দশা। সমাজের অপব্যবহার আমরা ইচ্ছা করলেই ত্যাগ করতে পারি। ধরুন, এই বিয়ের ব্যাপার—কত করুণ ব্যাপারই না এইদিক দিয়ে ঘটচে। এইরকম এক একটা বললে কত বলতে হয়। বলতে গেলে মাথা নীচু হয়। তবে একটা জিনিস আমাদের আছে, যেখানে আমরা গৰ্ব্ব করতে পারি। তাৰা জামাদের কত বিরাট, কত গৌরবময়ী ! চোখ বন্ধ করে তাই আমি জহুভৰ করি। একটা বই লিখলুম পথের বাৰী—সরকার বাজেয়াপ্ত করে দিলে। তার সাহিত্যিক মূল্য কি আছে না-জাছে দেখলে না। কোথায় গোটা-দুই সত্য কথা লিখেছিলুম। সেইটাই দেখলে। এক, সমাজ দেখুন, তার মধ্যে পরম্পর মেলামেশা নেই। এক-বাড়ির মধ্যে ভাব নেই। মনের প্রত্যেক ভাব নিজেদের সংবরণ করতে হয়। অন্ত জাতের একৰ 姆心镑