পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰন্থ কলিকাতায় থাক, আমরা মফঃস্বলে থাকি ; এসব অভিমত আমি দিতে পারি না । দিলেও তোমাধের কাছে সেটা বোধ করি তেমন গ্রাহ হইবে না-যাহ হৌক, যাহা ভাল বুঝিলাম, বলিলাম। এবং তাহাকে সম্পাদক করিলে যাহা অবশুম্ভাবী বলিয়া বিশ্বাস করি তাহাই জানাইলাম। শেষে আমার কথা। তাহার মান্ত রক্ষা করিবার জন্ত যাহা আমার সাধ্য তাহ নিশ্চয়ই করিতাম, কিন্তু এখন তিনি আর নাই । তিনি সাহিত্যিক এবং বোদ্ধ ছিলেন, তিনি আমার মূল্য বুঝিতেন—এবং না বুঝিলেও তার কাছে আমার অপমান ছিল না। সেই জন্ত মনে করিয়াছিলাম লিখিয়া পাঠাইব । তিনি ভাল বুঝিলে প্রকাশ করিবেন, না ভাল মনে করিলে প্রকাশ করিবেন মা, তাহাতে লজ্জার কোন কারণ ছিল না-অভিমানও হইত না, কিন্তু এখনও যে সে আমার দাম কষিবে, হয়ত বলিবে প্রকাশ করার উপযুক্ত নয়—হয়ত বলিবে ছিড়িয়া ফেলিয়া দাও বা file কর । সুতরাং আমাকে ভাই ক্ষমা কর । তুমি আমার কত বড় স্বহৃং তাহা আমি জানি—সে কথাটা এক দিনের তয়েও ভুলিব মা। তুমি আমাকে ভুল বুঝিলে বা আমার উপর রাগ করিলেও আমার মনের ভাব অটল থাকিবে, কিন্তু এ অন্ত কথা । অপরের কাগজের জন্ত আমি নিজের মর্য্যাদা নষ্ট করিব। শুরু হইতেই তোমাকে বলিতেছি তোমাদের লেখকেরা সাগরতুল্য। যাহাদের রচনা এবার বাহির হইবে বলিয়া লিথিয়াছ, অঙ্কুরূপ ( অনুরূপ দেবী ), বিজ্ঞাবিনোদ ( ক্ষীরোদপ্রসাদ বিস্তাবিনোদ ), নগেনবাবু ( নগেন্দ্রনাথ বন্ধ ) প্রভৃতি র্তাহাদের কাছে আমার লেখা ষে গোম্পদের মত দেখাইবে । আমি ছোট কাগজে লিখি ভাই, আমার পক্ষে তাহাই যথেষ্ট । আমি সেখানে সম্মান পাই, শ্রদ্ধা পাই-এর বেশি আর কিছু আশা করি না । আর একটা কথা চরিত্রহীম আমার স্বরেন মামা লিখিয়াছেন— হরিদাসবাবুও তাহাকে জানাইয়াছেন, ওটা এতই immoral যে কোন কাগজেই বাহির হইতে পারে না । বোধ হয় তাই হইবে কারণ তোমরা আমার শত্রু নও যে, মিথ্যা দোষারোপ করিবে-আমিও ভাবিতেছি ওটা লোকে খুব সম্ভব ওই ভাবেই প্রথমে গ্রহণ করিবে । আমিও সেই কথা স্পষ্ট করিয়া এবং তোমার সমস্ত argument ফণীকে ( যমুনা-সম্পাদক ফণীন্দ্রনাথ পাল ) খুলিয়া লিখিয়াছিলাম, তৎসত্বেও সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে যমুনাতে ওটা বাহির করিতেই হইবে। তাহার বিশ্বাস আমি এমন লিখিতেই পারি না বাহ immoral, সেই জন্ত বাধ্য হইয়া তোমার অনুরোধ ভাই বৃক্ষা করিতে বোধ হয় পারিলাম না । কারণ advertise করা হইয়াছে আর ফিরান যায় না। আমার নিজের নামের জন্ত আমি এতটুকুও মনে ভাবি না। লোকের যা ইচ্ছে আমার সম্বন্ধে মনে করুক, কিন্তু সে যখন বিশ্বাস করে, চরিত্রহীনের দ্বারাই তাহার কাগজের শ্ৰীবৃদ্ধি হইবে, এবং immoral হোক moral হোক লোকে খুব আগ্রহের সহিত পাঠ করিবে—তখন সে যাহা গুলি বোঝে Wor