পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•ोह्रौं-जभोछ ভয়ঙ্কর হাসিতে বাড়ি ভরিয়া উঠিল। খানিক পরে হাসি থামাইয়া যেন একটু প্রায় লজ্জিত হইয়াই পুনরায় রমার প্রতি চাহিয়া কহিল, মা-জী ? তাহার কথায় এব: ব্যবহারে অতিশয় সম্রমের ভিতরে যেন অবজ্ঞা লুকান ছিল, রম ইহাই কল্পনা করিয়া মনে মনে বিরক্ত হইয়া উঠিয়াছিল। এবার কথা কহিল বলিল, কি চায় তোর বাবু ? রমার বিরক্তি লক্ষ্য করিয়া ভজুয়া হঠাৎ যেন কুষ্ঠিত হইয়া পড়িল । তাই যতদূর সাধ্য সেই কর্কশকণ্ঠ কোমল করিয়া তাহার প্রার্থনার পুনরাবৃত্তি করিল। কিন্তু করিলে কি হয়—মাছ ভাগ হইরা যে বিলি হইয়া গিয়াছে। এতগুলো লোকের স্বমুখে রম হীন হইতেও পারে না। তাই কটুকণ্ঠে কহিল, ংেব বাবুর এতে কোন অংশ নেই। বলগে যা, যা পারে তাই করুক গে। বহুৎ আচ্ছা মা-জী । বলিয়। তজুয়া তৎক্ষণাৎ একটা দীর্ঘ সেলাম করিয়৷ বেণীব তৃত্যকে হাত নাড়িয়া যাইতে ইঙ্গিত করিয়া দিল এবং দ্বিতীয় কথা ন কহিয়া নিজেও প্রস্থানের উপক্রম করিল। তাহার ব্যবহারে বাডিম্বদ সকলেষ্ট যখন অত্যন্ত আশ্চৰ্য্য হইয়া গিয়াছে, তখন হঠাৎ সে ফিরিয়া দাড়াইয়া রমার মুখেব দিবে চাহিয়া হিন্দিবাঙলার মিশাইয়া নিজের কঠোর কণ্ঠস্বরের জন্য ক্ষমা চাহিল এবং কহিল, ম-জী, লোকের কথা শুনিয়া পুকুরধার হইতে মাছ কাড়িয়া আনিবার জন্যে বাবু আমাকে হুকুম করিয়াছিলেন। বাবুজী কিংবা আমি কেহই আমরা মাছ-মাংস ছুষ্ট না বটে, কিন্তু—বলিয়া সে নিজের প্রশস্ত বুকের উপর করাঘাত কবিয়া কহিল, বাবুজীর হুকুমে এই জীউ হয়ত পুকুরধারেই আজ দিতে হস্তৃত । কিন্তু রামজী রক্ষা করিয়াছেন, বাবুজীর রাগ পড়িয়া গেল। আমাকে ডাকিথা বললেন, ভজুয়া, যা, মা-জীকে জিজ্ঞেস করে আয় ও-পুকুলে আমার ভাগ আছে কি না , বলিয়া সে অতি সন্ত্রমের সহিত লাঠিষদ্ধ দুষ্ট হাত রমার প্রতি উখিত করিয়া নিজের মাথা ঠেকাহয় নমস্কার করিব বলিল, বাবুজী বলে দিলেন—আর যে যাই বলুক ভজুয়, আমি নিশ্চল জানি মা-জীর জবান থেকে কখনও ঝুটাবাত বর হবে না—সে কখনও পরের জিনিস ছোবে না, বলিয়া সে আস্তরিক সন্ত্রমেব সহিত বাবংবার নমস্কার করিয়া বাহির হইয়া গেল। যাইবামাত্র বেণী মেরেলি সরু গলায় আস্ফালন করিয়া কহিলেন, এমনি করিয়া উনি বিষয় রক্ষে করবেন ! এই তোমাদের কাছে প্রতিজ্ঞে করছি, আমি আজ থেকে গড়ের একটা শামুক-গুগলিতেও ওকে হাত দিতে দেব না, বুঝলে ন। রম, বলিয়। আহলাদে আটখানা হইয়া হিঃ–হি: করিয়া টানিয়া টানিয়া হাসিতে লাগিলেন । রমার কানে কিন্তু ইহার একটা কথাও প্রবেশ করিল না। মী-জীর মুখ হইতে কখনো ঝুটা বাত বাহির হইবে ন—ভজুয়ার এই বাক্যটা তখন তাহার দুই কানের ভিতর লক্ষ করতালির সমবেত ঝমাঝম্ শব্দে যেন মাথাটা ছেচিয়া ফেলিতেছিল । לר צ