পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরাজ-ৰৌ আজিকার আঁধার রাত্রে কি হৃদয় লইয়া কঁাপিতে কঁাপিতে আসিয়া দাড়াইল । নীচে গভীর জলরাশি স্বাঢ় প্রাচীর-ভিত্তিতে ধাক্কা খাইয়া আবৰ্ত্ত রচিা চলিয়াছে, সেইদিকে একবার ঝুঁকিয়া দেখিয়া সম্মুখে চাহিয়া রছিল। তাহার পায়ের নীচে কালো পাথর, মাথার উপর মেঘাচ্ছন্ন কালো আকাশ, স্বমুখে কালে জল, চারিদিকে গভীর কৃষ্ণ, স্তন্ধ বনানী—আর বুকের ভিতর জাগিতেছে তাদের চেয়ে কালে আত্মহত্যা প্রবৃত্তি। সে সেইখানে বসিয়া পড়িয়া নিজের আঁচল দিয়া দৃঢ় করিয়া জড়াইয়া জড়াইয়া নিজের হাত-পা বাধিতে লাগিল । ১২ প্রত্যুধের আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন, টিপি টিপি জল পড়িতেছিল। নীলাম্বর খোলা দরজার চৌকাঠে মাথা রাখিয়া কোন এক সময়ে ঘুমাইয়া পড়িয়ছিল। সহস৷ তাহার ক্ষপ্তকর্ণে শব্দ আসিল, ই গী, বিরাজ-বেীমা ! নীলাম্বর ধড়মড় করিয়া উঠিয়া বসিল । হয়ত তাম নাম শুনিয়া এমনই কোন এক বর্ষায় মেঘাচ্ছন্ন প্রভাতে শ্রীরাধ। এমনই ব্যাকুল হইয়। উঠিয় বসিতেন । সে চোখ মুছিতে মুছিতে বাহিরে আসিয়া দেখিল, উঠানে তুলসী ডাকতেছে । কাল সমস্ত রান্ত্রি বনে বনে প্রতি বৃক্ষতলে খুজিয়া খুজিয়া কাদিয়া ঘণ্ট-খানেক পূৰ্ব্বে প্রান্ত ও ভীত হইয়া ফিরিয়া আসিয়া দোরগোড়ায় বসিয়াছিল, তার পর কখন ভুলিয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল । - তুলসী জিজ্ঞাস করিল, মা কোথায় বাৰু? নীলাম্বর হতবুদ্ধির মত চাহিয়া থাকিয়া বলিল, তুই তবে কাকে ডাকছিলি ? তুলসী বলিল, বোমাকেই ত ডাকচি বাৰু! কাল এক পহর রাতে কোথাও কিছু নেই, এই আঁধারে মা গিয়ে আমাদের বাড়ি মোট চাল চেয়ে আনলে, তাই সকালে দোর খোলা পেয়ে জানতে এলুম, সে চেলে কি কাজ হ’ল ? নীলাম্বর মনে মনে সমস্ত বুঝিল, কিন্তু কোন কথা কহিল মা । তুলসী বলিল, এত ভোরে তবে খিড়কি খুললে কে? তবে বুঝি বেীমা ঘাটে গেছেন, বলিয়া চলিয়া গেল । নদীর ধারে ধারে প্রতি গৰ্ত্ত, প্রতি বাক, প্রতি ঝোপ-ঝাড় অনুসন্ধান করিতে করিতে সমস্ত দিন অদ্ভুক্ত, অল্পাত নীলাম্বর সহল। একস্থানে থামিয়া পড়িয়া বলিল, এ কি পাগলামি আমার মাথায় চাপিয়াছে! আমি যে সারাদিন খাই নাই, এখনও কি একথা তাহার মনে পড়িতে বাকী আছে ? এর পরও সে কি কোথাও কোন কারণে \be & ३य्र-9a