পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মব-বিধান আঘাত করিতে পারে প্রথমে সে বেন বিশ্বাস করিতেই পারিল না। তার পরে শৈলেশের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করিয়া হঠাৎ কাদিয়া ফেলিয়া বলিল, এর পরে আর ত তোমার বাড়িতে আসতে পারিনে দাদা ! আমি তা হলে চিরকালের মতই চললুম। শৈলেশ ব্যকুল হইয়া উঠিল। উষা হাতের কাজ ফেলিয়া শশব্যন্তে উঠিয়া দাড়াইয়া তাহার হাত চাপিয়া ধরিয়া কহিল, আমরা ত তোমাকে কোন কৰা বলিনি ভাই । হঠাৎ একটা বিত্র কাও হইয় গেল, এবং এই গণ্ডগোলের মধ্যে ক্ষেত্রমোহন নিঃশব্দে বাহির হইয়া গেলেন। বিভা হাত ছাড়াইয়া লইয়া চোখ মুছিতে মুছিতে বলিল, আমি যখন আপনার কেবল শক্রতাই করচি, তখন এ বাড়িতে আমার জার কিছুতেই প্রবেশ করা উচিত নয়। উষা কহিল, কিন্তু এমন কথা আমি ত কোনদিন মনেও ভাবিনি ঠাকুরৰি । বিভা কানও দিল না। অশ্র-বিকৃত স্বরে বলিতে লাগিল, আজ উনি মুখের উপর স্পষ্ট বলে গেলেন, কাল হয়ত দাদাও বলবেন তার নূতন ঘর-সংসারের মধ্যে কথা কইতে যাওয়া শুধু অপমান হওয়া । উমা, বাড়ি যাও ত এস। এই বলিয়া সে নীচে নামিতে উষ্ঠত হইয়া কহিল, বৌদিদি যখন নেই, তখন এ বাড়িতে পা দিতে যাওয়াটাই আমাদের ভুল। এবার বাড়ির সকল সম্বন্ধই আমার যুচল। এই বলিয়া সে সিড়ি দিয়া নীচে চলিয়া গেল। শৈলেশ পিছনে পিছনে নামিয়া আসিয়া সসঙ্কোচে কহিল, না হয়, আমার লাইব্রেরী-ঘরে এসেই একটু বলু না বিতা । বিভী ঘাড় নাড়িয়া কহিল, না। কিন্তু আমার বৌদিদিকে একেবারে ভুলে ৰেও না দাদা । তার বড় ইচ্ছে ছিল, সোমেন বিলাতে গিয়ে লেখাপড়া শিখে মানুষ হয়— দোহাই তোমার, তাকে নষ্ট হতে দিয়ে না। আজ তাকে যেভাবে চোখে দেখতে পেলুম, এই শিক্ষাই যদি তার চলতে থাকে, সমাজের মধ্যে আর মুখ দেখাতে পারব না । তাহার অশ্র-গদগদ কণ্ঠস্বরে বিচলিত হইয়া শৈলেশ মিনতি করিয়া কহিল, তুই আমার বাইরের ঘরে বসবি চল্ বোন, এমন করে চলে গেলে আমার কষ্টের সীমা थांकहद न ! বিতার চোখ দিয়া পুনরায় জল গড়াইয়া পড়িল। সোমেনের ভবিষ্যৎ চিন্তা করিয়া কি না জানি না, কিন্তু অঞ্চলে অশ্রুমুছিয়া বলিল, কোৰাও গিয়ে জার বসতে চাইনে দাদা, কিন্তু সোমেন আমাদের বাপের কুলে একমাত্র বংশধর, তার প্রতি একটু দৃষ্ট রেখো, একেবারে আত্মহারা হয়ে যেয়ে না দ্বাৰা । এই বলিয়া লে সোজা ৰাছির হইয়া জালিয়া তাহার গাড়িতে গিয়া উপবেশন করিল। উমা বরাবর নীরব হুইয়াই veta