পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব-বিশ্বান ডিনার তখনও দুই-একটা ডিসের অধিক অগ্রসর হয় নাই, উষা আসিয়া একখানা চৌকি টানিয়া লইয়া একটু দূরে বসিল। শৈলেশের মন প্রসন্ন ছিল, ঠাট্টা করিয়া বলিল, ঘরে ঢুকলে জাত বাবে না ? ম্রাণেও যে অৰ্দ্ধভোজনের কথা শাস্ত্রে লেখা আছে। উষা অল্প একটুখানি হাসিয়া কহিল, এ তোমার উচিত নয়। ষে শাস্ত্রকে তুমি মান না, গণ না, তার দোহাই দেওয়া তোমার সাজে না । শৈলেশও হাসিল। কহিল, আচ্ছা হার মানলুম। কিন্তু শাস্ত্রের দোহাই আমিও দেব না, তুমিও কিন্তু পালিয়ে না। তবে এ কথা নিশ্চয় ষে, ভাগ্যে কাল খোটা দিয়েছিলুম তাই ত আজ এমন বস্তুটি অদৃষ্টে জুটলো ! ঠিক না উষ । কিন্তু খরচপত্র কি তোমার খুব বেণী পড়বে ? উষা ঘাড় নাড়িয়া বলিল, না। অপব্যয় না হলে কোন বাবার জিনিসেই খুব বেশি পড়ে না। আলচে মাস থেকে আমি নিজেই এ সব করব ভেবেছিলাম। কিছু এইটি দেখো, জিনিসপত্র বৃথা নষ্ট যেন না হয়। অামার খরচের ধাতায় যেমনটি লিখে রেখেচি, ঠিক তেমনিটি যেন হয়। হবে ত ? শৈলেশ আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, কেন হবে না শুনি ? উষা তৎক্ষণাৎ ইহার উত্তর দিতে পারিল না। ক্ষণকাল নীরবে নীচের দিকে চাহিয়া থাকিয়া সহসা মুখ তুলিয়া স্বামীর মুখের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করিয়া কছিল, কাল সারারাত ভেবে ভেবে আমি যা স্থির করেচি তাকে অস্থির করবার জন্ত আমাকে আদেশ ক’রো না, তোমার কাছে আমার এই মিনতি । শৈলেশ আর্দ্রচিত্তে কহিল, তা ত আমি কোনদিন করবার চেষ্টা করিনে উষা । আমি নিশ্চয় জানি, তোমার সিদ্ধান্ত তোমারই যোগ্য। তার নড়াচড় হয়ও না, হওয়া উচিতও নয়। আমি দুর্বল, কিন্তু তোমার মন তেমনি সৰল, তেমনি দৃঢ়। . স্বামীর মুখের উপর হইতে উষ দৃষ্টি সরাইয়া লইয়া ধীরে ধীরে কহিল, সত্যিই আর কিছু হবার নয়, আমি ভেবে দেখেচি। - শৈলেশ নিশ্চয়ই বুঝিল ইহা সোমেনের কথা। সহাস্তে কহিল, ভূমিকা ত হ’ল, এখন স্থির কি করেচ বল ত ? অামি শপথ করে বলতে পারি তোমাকে কখনো অস্তথা করতে অম্বুরোধ করব না । উষা মিনিট-খানেক চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। তারপরে বলিল, দাদার সংসারে আমার চলে যাচ্ছিল—বিশেষ কোন কষ্ট ছিল না। কাল আবার জামি তাদের कां८छ्हें बांद । তাদের কাছে বাবে ? কবে কিরবে ? উষ বলিল, তুমি জামাকে ক্ষমা ক’রে, ফিরতে আর আমি পারব না। আমি 1ற்று)