পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐौकॉलु ডাক্তারবাবু কহিলেন, তা হলে জুটে পড়ন, নেহাৎ মন্দ হবে না। লোকটার ঐ ত চেহারা ; তাতে টাইফয়েডের লক্ষণ মনে হচ্চে। যা হোক, বেশী দিন টিকবে না, তা ঠিক। ইতিমধ্যে একটু নজর রাখবেন, আর কোন ব্যাট না ভিড়ে যায়। - অবাক হইয়া বলিলাম, আপনি এ সব কি বলচেন ডাক্তারবাবু ? ডাক্তারবাবু কিছুমাত্র অপ্রতিভ না হইয়া কহিলেন, আচ্ছ, ছোড়াটা বার করে আনচে, না ওকেই বার করে এনেচে, কি মনে হয় বলুন ত শ্রীকান্তবাবু? খুব forward, না ? দিব্যি কথাবাৰ্ত্ত কয়। বলিলাম, এ রকম ধারণা আপনার মনে কি করে এল ? ডাক্তারবাবু বলিলেন, প্রতি ট্রিপেই দেখি কিনা, একট-না-একটা আছেই। গতবারেই ত বেলঘোরের একজোড়া ছিল ৷ একবার.বৰ্ম্মায় গিয়ে পা দিন, তখন দেখবেন, আমার কথাটা ঠিক কি না। . বৰ্ম্মার কথাটা যে তার অনেকটাই সত্য, তাহ পরে দেখিয়াছিলাম বটে ; কিন্তু আপাতত: সমস্ত মনটা বিতৃষ্ণায় যেন তিক্ত হইয়া উঠিল। ডাক্তারবাবুর নিকট বিদায় লইয়া একবার নন্দ মিস্ত্রীর খবর লইতে নীচে গেলাম। সপরিবারে মিস্ত্রীমশাই তখন ফলাহারের আয়োজন করিতেছিল ; একটা নমস্কার করিয়া প্রথমেই প্রশ্ন করিল, ঐ মেয়েমানুষটি কে মশাই ? টগর শিরঃপীড়া বাবদে মাথায় একটা পাগড়ি বধিতেছিল-ফোস করিয়া গর্জাইয়৷ উঠিল, তোমার সে খবরে কাজ কি শুনি ? মিস্ত্রী আমাকে মধ্যস্থ মানিয়া কহিল, দেখলেন মশাই, মাগীর ছোট মন ? কে বাঙালী মেয়েটা বেলুনে যাচ্ছে —খবরটা নিতেও দোষ ? টগর শিরঃপীড়া ভুলিয়া, পাগড়িটা ফেলিয়া দিয়া আমার মুখপানে চাহিল। সেই দুটি গোল-চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া কহিল, মশাই, টগরা বোষ্টমীর হাত দিয়ে ওর মত কত গণ্ড মিস্তিরী মানুষ হয়ে গেল—এখন ও আমার চোখে ধুলো দেবে? আরে, তুই ডাক্তার না বছি যে, যেই একটু জল আনতে গেছি, অমনি ছুটে দেখতে গেছিস্ ? কেন, কে ও ? ভাল হবে না বলে দিচ্ছি মিস্তিরী ! আর যদি ওদিকে যেতে দেখি ত, তোমারই একদিন, কি আমারই একদিন । নন্দ মিন্ত্রীও গরম হইয়া কহিল, তোর কি আমি পোষা বঁদের যে, যে-দিকে শেকল ধরে নিয়ে যাবি সেই দিকে যাবো ? আমার ইচ্ছে হলে আবার গিয়ে বেচারাকে দেখে আসব-তুই যা পারিস, তা করি। বলিয়া ফলাহারে মন দিল । - টগরও শুধু একটা আচ্ছা বলিয়া তাহার পাগড়ি বাধিতে প্রবৃত্ত হইল। আমিও প্রস্থান করিলাম। ভাবিতে ভাবিতে গেলাম, এমনি করিয়া ইহারা বিশ বৎসর الات