পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন ভালবেসেছিলাম কমল। আজ তাই আমার কেবলি মনে হচ্ছে আগ্রায় যদি আমরা না আসতাম। বলিতে বলিতে চোখের কোণে র্তাহার এক ফোটা জল আসিয়া পড়িল, হাত দিয়া মুছিয়া ফেলিয়া শুধু কহিলেন জগদীশ্বর! কমল উঠিয়া আসিয়া তাহার শিয়রে বসিল, কপালে হাত দিয়া বলিল, আপনার যে জর হয়েচে আগুবাৰু! আগুবাবু তাহার হাতখানি নিজের হাতের মধ্যে টানিয়া লইয়া কহিলেন, তা হোক। কমল, আমি জানি তুমি অতি বুদ্ধিমতী, আমার কিছু একটা তুমি উপায় করে দাও । আমার বাড়িতে ঐ লোকটার অস্তিত্ব যেন আমার সর্বাঙ্গে আগুন জেলে দিয়েচে । কমল চাহিয়া দেখিল অজিত অধোমুখে বসিয়া আছে । তাহার কাছে কোন ইঙ্গিত ন পাইয়া সে ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া বলিল, আমাকে আপনি কি করতে বলেন বলুন। কিন্তু জবাব না পাইয়া সে নিজেও কিছুক্ষণ নিঃশব্দে বসিয়া রহিল ; পরে কহিল, শিবনাথবাবুকে আপনি রাখতে চান না, কিন্তু তিনি যে পীড়িত। এ অবস্থায় হয় তাকে হাসপাতালে পাঠান, নয় তার নিজের বাসাটা যদি জানেন পাঠাতে পারেন। আর যদি মনে করেন আমার ওখানে পাঠিয়ে দিলে ভাল হয় তাও দিতে পারেন। আমার আপত্তি নেই, কিন্তু জানেন ত চিকিৎসা করবার শক্তি নেই আমার ; আমি প্রাণপণে শুধু সেবা করতেই পারি, তার বেশি পারিনে। আগুবাবু কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হইয়া কহিলেন, কমল, কেন জানিনে, কিন্তু এমনি উত্তরই ঠিক তোমার কাছে আশা করেছিলাম। পাষণ্ডের জবাব দিতে গিয়ে যে তুমি নিজে পাষাণ হতে পারবে না এ আমি জানতাম । তোমার জিনিস তুমি ঘরে নিয়ে যাও, চিকিৎসার খরচের জন্ত ভয় ক’র না, সে ভার আমি নিলাম। কমল কহিল, কিন্তু এই ব্যাপারে একটা কথা সকলের আগে পরিষ্কার হওয়া দরকার । আপ্তবাবু তাড়াতাড়ি কহিয়া উঠিলেন, তোমার বলবার দরকার নেই কমল, সে আমি জানি। একদিন সমস্ত আবর্জন দূর হয়ে যাবে। তোমার কোন চিন্ত৷ নেই, আমি বেঁচে থাকতে এতবড় অন্যায় অত্যাচার তোমার উপরে ঘটতে দেব না । কমল তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া স্থির হইয়া রহিল, কথা কহিল না । কি ভাবচ কমল ? ভাবছিলুম আপনাকে বলবার প্রয়োজন আছে কি-না । কিন্তু মনে হচ্ছে প্রয়োজন আছে, নইলে পরিষ্কার কিছুই হবে না, বরঞ্চ ময়লা বেড়ে যাবে। আপনার Sశిసె