পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ রোগীর সম্বন্ধে কোন উপদেশ দেবার থাকে ত একেই দিন, বুঝতে পারবে বলেই মনে হয়। নেহাৎ বোকা নয়। নামটা কাল জেনে গিয়েছিলাম, কিন্তু ভুলে গেছি। কি নাম রে ? ফাগুয়া । আজ ওষুধ খাইয়েছিলি ? ছেলেটি বা হাতের দুটাে আঙুল দেখাইয়া কহিল, দো খোরাক খিলায়া। আউর কুছ খিলায় ? হ—দুধ ভি পিলায় । বহুৎ আচ্ছা কিয় । ওপরের পাঞ্জাবী বাবুরা কেউ এসেছিল ? ছেলেট ক্ষণকাল চিস্তা করিয়া বলিল, শায়েদ দো পহরমে একঠে। বাবু অীয়া রহ । শায়েদ ? তখন তুমি কি করছিলে বাবা, ঘুমুচ্ছিলে ? কমল জিজ্ঞাসা করিল, ফাগুয়া, তোর এখানে ঝাড়ুটাড় কিছু আছে ? ফাগুয়া ঘাড় নাড়িয়া ঝণটা আনিতে গেল ; রাজেন কহিল, ঝাটা কি করবেন ? ওকে পিটুবেন না কি ? কমল গম্ভীর হইয়া কহিল, এ কি তামাসার সময় ? মায়া-মমতা কি তোমার শরীরে নেই ? আগে ছিল। ফ্লগড় আর ফ্যামিন রিলিফে সেগুলো বিসর্জন দিয়ে এসেচি। ফাগুয়া ঝাটা আনিয়া হাজির করিল। রাজেন বলিল, আমি ক্ষিদের জালায় মরি, কোথাও থেকে দুটো খেয়ে আসি গে। ততক্ষণ ঝণটা আর এই ছেলেটাকে নিয়ে যা পারেন করুন, ফিরে এসে আপনাকে বাসায় পৌছে দিয়ে যাব। ভয় পাবেন না, আমি ঘণ্টা-দুয়ের মধ্যেই ফিরব। এই বলিয়া সে উত্তরের অপেক্ষ না করিয়াই বাহির হইয়া গেল। _ সহরের প্রান্তস্থিত এই স্থানটা অল্পকাল মধ্যে নিঃশব্দ ও নির্জন হইয়া উঠিল। যাহার উপরে বাস করে তাঁহাদের কলরব ও চলাচলের পায়ের শব্দ থামিল। বুঝা গেল তাহারা শয্যাশ্রয় করিয়াছে। শিবনাথের সংবাদ লইতে কেহ আসিল না। বাহিরে অন্ধকার রাত্রি গভীর হইয়া আসিতেছে, মেয়ে কম্বল পাতিয়া ফাগুয়া ঝিমাইতেছে, সদর দরজা বন্ধ করিবার সময় হইয়া আসিল, এমনি সময়ে রাস্তায় সাইক্লের ঘণ্টা শুনা গেল এবং পরক্ষণেই দ্বার ঠেলিয়া রাজেন প্রবেশ করিল। ইতস্ততঃ দৃষ্টিপাত করিয়া এই অল্পকাল মধ্যে গৃহের সমস্ত পরিবর্তন লক্ষ্য করিয়া সে ఏ88