পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রই অথচ আপনার টাকার অবধি নেই—একটাদিনও কি খবর নিয়েচেন ? মনোরম এ-দুঃখে পড়লে কি আপনি সইতেন ? দিন-রাত খেটে থেটে কত রোগ হয়ে গেছি দেখুন ত ? এই বলিয়া সে নিজের বা হাতখানি অজিতের হাতের উপর রাখিতেই আচম্বিতে তাহার সর্বশরীর শিহরিয়া উঠিল। অস্ফুটে কি একটা বলিতে চাহিল, কিন্তু কমল সহসা হাত টানিয়া লইয়া চেঁচাইয়া উঠিল, ড্রাইভার, রোকো রোকো—এ যে পাগলা-গারদের সামনে এসে পড়েচি। গাড়ী ঘুরিয়ে নাও। অন্ধকারে ঠিক ঠাওর করতে পারা যায়নি । , অজিত কহিল, ই, দোষ অন্ধকারের। শুধু সাত্বন এই যে, হাজার অবিচারেও ও-বেচারার প্রতিবাদ করবার যে নেই। সে অধিকারে ও বঞ্চিত। এই বলিয়া সে একটু হাসিল। শুনিয়া কমল হাসিল, কহিল, তা বটে। কিন্তু বিচার জিনিসটাই ত সংসারের সব নয়, এখানে অবিচারেরও স্থান আছে বলে আজও দুনিয়া চলচে, নইলে কোনকালে সে থেমে যেতো। ড্রাইভার, থামাও । অজিত কবাট খুলিয়া দিতে কমল রাস্তায় নামিয়া আসিয়া কহিল, অন্ধকারের ওর চেয়েও বড় অপরাধ আছে অজিতবাবু, একলা যেতে ভয় করে। এই ইঙ্গিতে অজিত নিঃশব্দে পাশে নামিয়া দাড়াইতেই কমল ড্রাইভারকে বলিল, এবার তুমি বাড়ি যাও, এর ফিরে যেতে দেরি হবে। সে কি কথা ! এত রাত্রে এ-অঞ্চলে আমি গাড়ী পাব কোথায় ? তার উপায় আমি করে দেব । গাড়ী চলিয়া গেল। অজিত কহিল, কোন ব্যবস্থাই হবে না জানি, অন্ধকারে তিন-চার মাইল হাটতে হবে। অথচ আপনাকে পৌছে দিয়ে আমি অনায়াসে ফিরে লেতে পারতাম । পারতেন না । কারণ আপনাকে না খাইয়ে ওই আশ্রমের অনিশ্চয়তার মধ্যে আমি যেতে দিতে পারতুম না। আমুন। বাসায় দাসী আজি আলো জালিয়া অপেক্ষা করিয়া ছিল, ডাকিতেই দ্বার খুলিয়া দিল। উপরে গিয়া কমল সেই সুন্দর আসনখানি পাতিয়া অজিতকে রানাঘরে বসিতে দিল। আয়ােজন প্রস্তুত ছিল, ক্টোত আলিয়া রায়া চড়াইয়া দিয়া অদূরে উপবেশন করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, এমনি আর একদিনের কথা মনে পড়ে ? ! 頓 নিশ্চয় পড়ে । আচ্ছ, তার সঙ্গে আজ কোথায় তফাৎ বলতে পারেন? বলুন ত দেখি ? و مtم