পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন তুমি কিছুতে কাটিয়ে উঠতে পারে না। এবং এইখানেই আমাদের সঙ্গে তোমার অহরহ ধাক্কা লাগে । রাত অনেক হ’লে কমল, এ নিষ্ফল কলহ বন্ধ করে—এ আদর্শ gठांगांब्र चत्र नग्न । কোন আদর্শ? আপনার ব্রহ্মচৰ্য্য আশ্রমের ? অজিত খোচ খাইয়া মনে মনে রাগ করিল, কহিল, বেশ তাই । কিন্তু এ গুঢ়তত্ব বিদেশীদের জন্য নয়। এ তুমি বুঝবে না। : আপনার সাগরেদি করলেও পারব না ? Fill এবার কমল হাসিয়া উঠিল। যেন সে-মানুষ আর নয়। কহিল, আচ্ছা বলুন ত কি হলে ঐ সাধুদের আড্ডা থেকে আপনার নাম কাটিয়ে দিতে পারি ? বাস্তবিক, ঐ আশ্রমটা হয়েচে যেন আমার চক্ষুশূল । অজিত বিছানায় গুইয়া পড়িয়া বলিল, রাজেনকে ডেকে এনে তুমি অনায়াসে আশ্রয় দিলে—তোমার কিছুই বোধ হয় মনে হ’লো না, না ? কি আবার মনে হবে ? এ-সব বোধ করি তুমি গ্রাহই করে না ? কি গ্রাহ করিনে, আপনাদের মতামত ? না । নিজের সম্বন্ধেও বোধ করি কখনো ভয় করো না ? কমল বলিল, কখনো করিনে তা বলতে পারিনে, কিন্তু ব্ৰহ্মচারীকে ভয় কিসের ? হ, বলিয়া অজিত চুপ করিয়া রহিল। হঠাৎ একসময়ে বলিয়া উঠিল, কেঁচো মাটির নীচে অন্ধকারে থাকে, সে জানে বাইরের আলোতে বার হলে তার রক্ষে নেই—তাকে গিলে খাবার মুখ ই করে আছে। লুকানো ছাড়া আত্মরক্ষার কোন উপায় সে জানে না। কিন্তু তুমি জানো মাহুৰ কেঁচো নয়। এমন কি মেয়েমানুষ হলেও না । শাস্ত্রে আছে, নিজের স্বরূপটিকে জানতে পারাই পরম শক্তি—এই জানাটাই তোমার আসল শক্তি, না কমল ? কমল কিছুই না বলিয়া শুধু চাহিয়া রহিল। অজিত কহিল, মেয়েরা যে বস্তুটিকে তাদের ইহজীবনের যথাসৰ্ব্বস্ব বলে জানে, সেইখানে তোমার এমন একটি সহজ ঔদাসীন্য যে, যত নিন্দেই করি, সে-ই বেন আগুনের বেড়ার মতো তোমাকে অমৃক্ষণ আগলে রাখে। গায়ে লাগবার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এইমাত্র আমাকে বলছিলে পুরুষের ভোগের বস্ত বার, তাদের জাত তুমি মও। আজ রাত্রে তোমার সঙ্গে মুখোমুখি বলে এই কথাটার মানে স্পষ্ট ᏕᎼᏄ