পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ন্যাসীমান্বষ, বৈরাগ্যগিরিতে পেকে গেছেন, সুতরাং খাবার দিক থেকে ওঁর ক্রটি কেউ দেখতে পাবে না। ভাবনা শুধু অজিতবাবুর জন্ত। এমন সংসর্গেও যে উনি তাড়াতাড়ি স্বপক্ক হয়ে উঠতে পারচেন না, সে ওঁর আজকের খাওয়া দেখলেই ‘ধরা যায় । 瞳 • হরেন্দ্র বলিল, বোধ হয় মনের মধ্যে পাপ আছে, তাই ধরা পড়বে একদিন । অজিত লজ্জায় আরক্ত হইয়া কহিল, আপনি কি ষে বলেন হরেনবাবু ! নীলিমা ক্ষণকােল তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া কহিল, তোমার মুখে ফুল-চন্দন পড়ুক ঠাকুরপো, তাই যেন হয়। ওঁর মনের মধ্যে একটুখানি পাপ থাক, উনি ধরাই পড়ন একদিন-আমি কালীঘাটে গিয়ে ঘটা করে পূজা দেব । 顧 তা হলে আয়োজন করুন । 豔 অজিত অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া বলিল, আপনি কি বাজে বকচেন হরেনবাবু, ভারি বিশ্ৰী বোধ হয়। 嚇 হরেন্দ্র আর কথা কহিল না। অজিতের মুখের দিকে চাহিয়া নীলিমার কৌতুহল তীক্ষ হইয়া উঠিল, কিন্তু সেও চুপ করিয়া রছিল। অজিতের কথাটা চাপা পড়িলে কিছুক্ষণ পরে হরেন্দ্র নীলিমাকে লক্ষ্য করিয়া বলিল, আমাদের আশ্রমের ওপর কমলের ভারি রাগ । আপনার বোধ করি ধনে আছে বৌদি ? ஆ নীলিমা মাথা নাড়িয়া বলিল, আছে। এখনো তার সেই ভাব নাকি ? - হরেন্দ্ৰ কহিল, ঠিক সেই ভাব নয়, আর একটুখানি বেড়েচে এইমাত্র প্রভেদ । পরে কহিল, শুধু আমাদের উপরেই নয়, সৰ্ব্ববিধ ধৰ্ম্ম-প্রতিষ্ঠানের প্রতিই তার অত্যন্ত অমুরাগ। ব্রহ্মচৰ্য্যই বলুন, বৈরাগ্যের কথাই বলুন, আর ঈশ্বর সম্বন্ধেই আলোচনা হোক, শোনা-মাত্রই অহেতুক ভক্তি ও প্রীতির প্রাবল্যে অগ্নিবৎ হয়ে উঠেন। মেজাজ ভাল থাকলে মূঢ়-বুড়ো-খোকাদের ছেলেখেলায় আবার কৌতুক বোধ করতেও অপারগ হন না। চমৎকার । বেলা চুপ করিয়াই শুনিতেছিল, কহিল, ঈশ্বর ওঁর কাছে ছেলেখেলা ? অার এরই সঙ্গে আমার তুলনা করেছিলেন, আণ্ডবাৰু? এই বলিয়া সে পৰ্য্যায়ক্রমে সকলের মুখের দিকেই চাহিল, কিন্তু কাহারও কাছে কোন উৎসাহ পাইল না। তাহার কক্ষ স্বর ইহাদের কানে গেল কি না ঠিক বুঝা গেল না । , হয়েজ বুলিতে লাগিল—অথচ নিজের মধ্যে এমনি একটি নিত্ব দ্ব সংযম, নীরৰ মিতাচার ও নির্বিশঙ্ক তিতিক্ষণ আছে যে দেখে বিস্ময় লাগে । আপনার শিবনাথের 文°蒸》