পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন হরেন্দ্রও হাসিল, কহিল, কি করব বোদি, আমি সরল সোজা মানুষ, যা ভাবি তাই বলে ফেলি। কিন্তু জিজ্ঞেস করুন দিকি অজিতবাবুকে, এক্ষুণি উনি হাতের আস্তিন গুটিয়ে মারতে উষ্ঠত হবেন । তা হোক, কিন্তু বেঁচে থাকলে দেখতে পাবেন একদিন । অজিত ক্রুদ্ধকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, আঃ, কি করেন হরেনবাবু। আপনার আশ্রম থেকে দেখচি চলে যেতে হবে একদিন । হরেন্দ্র বলিল, একদিন সে আমি জানি । কিন্তু ইতিমধ্যের দিন কটা একটু সহ করে থাকুন। তা হলে বলুন আপনার যা ইচ্ছা হয়। আমি উঠে যাই । নীলিমা বলিল, ঠাকুরপো, তোমার ব্রহ্মচৰ্য্য আশ্রমটা ছাই ভুলেই দাও না ভাই । তুমিও ধাচে, ছেলেগুলোও বঁাচে । হরেন্দ্র বলিল, ছেলেগুলো বাচতে পারে বৌদি, কিন্তু আমার বাঁচবার আশা নেই। অন্ততঃ অক্ষয়টা বেঁচে থাকতে নয়। সে আমাকে যমের বাড়ি রওনা করে দিয়ে ছাড়বে। - আগুবাবু কহিলেন, অক্ষয়কে দেখচি তোমরা তা হলে ভয় করে । আজ্ঞে, করি। বিষ খাওয়া সহজ, কিন্তু তার টিটকিরি হজম করা অসাধ্য। ইনফ্লুয়েঞ্জায় এত লোক মারা গেল কিন্তু সে ত মরল না। দিব্যি পালালো । সকলেই হাসিতে লাগিলেন। নীলিমা বলিল, অক্ষয়বাবুর সঙ্গে কথা কইনে বটে, কিন্তু এবার তোমার জন্যে বার হয়ে তার কাছে ক্ষমা ভিক্ষ চেয়ে দেবাে। ভেতরে ভেতরে জলে-পুড়ে যে একেবারে কয়লা হয়ে গেলে । হুরেন্দ্ৰ কহিল, আমরাই ধরা পড়ে গেছি বৌদি, আপনারা সব জালা-পোড়ার অতীত। বিধাতা আগুন শুধু আমাদের জন্তই স্বষ্টি করেছিলেন, আপনার তার বাইরে। নীলিমা লজ্জায় আরক্ত হইয়া শুধু কহিল, তা নয় ত কি ! বেলা কহিল, সত্যই ত তাই । ক্ষণকাল নীরবে কাটিল। অজিত কথা কহিল, বলিল, সেদিন ঠিক এই নিয়ে একটি চমৎকার গল্প পড়েচি। আপ্তবাবুর দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল, আপনি পড়েননি ? H যে মাসিকপত্রগুলো আপনার বিলেত থেকে আসে, তারই একটাতে আছে ফরাসী গল্পের অমুবাদ, স্ত্রীলোকের লেখা। বোধ করি ডাক্তার। একটুখানি २>> ు='"