পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( e চোখ পড়িতেই আত্মসংবরণ করিয়া কহিল, ন, এ-ব্যাপারে কোন সাহায্যই আপনাকে আমি করতে পারবে না। উত্তরাধিকারে বঞ্চিত করার ভয় দেখালে সে ভয় পাবে কিনা জানিনে, যদি পায় তখন এই কথাই বলবো যে, খাইয়ে পরিয়ে, ইস্কুল-কলেজের বই মুখস্থ করিয়ে মেয়েকে বড়ই করেচেন, কিন্তু মানুষ করতে পারেননি। সেই অভাব পূর্ণ করার সুযোগটুকু তার যদি দৈবাৎ এসে পড়ে থাকে, আমি হস্তারক হতে যাব কিসের জন্তে ? 卓 কথাটা আণ্ডবাবুর ভাল লাগিল না, কহিলেন, তুমি কি তা হলে বলতে চাও বাধা দেওয়া আমার কর্তব্য নয় ? কমল কহিল, অন্তত: ভয় দেখিয়ে নয় এইটুকু বলতে পারি। আমি আপনার মেয়ে হলে বাধা হয়ত পেতাম, কিন্তু এ-জীবনে আর কখনো আপনাকে প্ৰদ্ধা করতে পারতাম না। আমার বাবা আমাকে এইভাবেই গড়ে গিয়েছিলেন। আপ্তবাবু বলিলেন, অসম্ভব নয় কমল, তোমার কল্যাণের পথ তিনি এইদিকেই দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু আমি পাইনে। তবু আমি পিতা । আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্চি শিবনাথকে কেউ যথার্থ ভালবাসা দিতে পারে না–এ তার মোহ । এ মিথ্যে } এ ক্ষণস্থায়ী নেশার ঘোর যেদিন কেটে যাবে সেদিন মণির দুঃখের অস্ত থাকবে না । কিন্তু তখন তাকে বাচাবে কিসে ? কমল কহিল, নেশার মধ্যেই বরঞ্চ ভাবনা ছিল, কিন্তু সে-ঘোর কেটে গিয়ে যখন সে সুস্থ হয়ে উঠবে তখন তার আর ভয় নেই। তার স্বাস্থ্যই তখন তাকে রক্ষণ করবে। আগুবাবু অস্বীকার করিয়া বলিলেন, এ-সব কথার মার-প্যাচ কমল, যুক্তি নয়। সত্য এর থেকে অনেক দূরে। ভুলের দও তাকে বড় করেই পেতে হবে, ওকালতির জোরে তার অব্যাহতি মিলবে না। কমল কহিল, অব্যাহতির ইঙ্গিত আমি করচি না আগুবাবু। ভুলের দও পেতে হয়, এ আমি জানি। তার দুঃখ আছে, কিন্তু লজ্জা নেই—মণি কাউকে ঠকাতে যায়নি, ভুল-ভেঙে সে যদি ফিরে আসে, তাকে মাথা হেঁট করে আসতে হবে না এই ভরসাই আপনাকে আমি দিতে চেয়েছিলাম। তবু তো ভরসা পাইনে কমল। জানি, ভুল তার ভাঙবেই, কিন্তু তার পরেও যে তাকে দীর্ঘদিন বাঁচতে হবে, তখন সে থাকবে কি নিয়ে ? বঁাচবে কোন অবলম্বনে ? জুম্বন কৃশ আপনি বলবেন না। মানুষের দুঃখটাই যদি দুঃখ পাওয়ার শেষ কথা ৰঙ্কে, জ্ঞার মূল্য ছিল না । সে একদিকের ক্ষতি আর একদিকের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে পূর্ণ করে তোলে, নইলে আমিই বা আজ বেঁচে থাকতুম কি করে ? বরঞ্চ আপনি ఫ్బిలిరి