পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎসাহিত্য-সংগ্রই ছবি দেখেচ ? দেখনি ? তা হলে ঠিকটি উপলব্ধি করতে পারবে না। দোতালার বারান্দায় দাড়িয়ে আমার তো হঠাৎ মনে হয়েছিল একদল কচ সার বেঁধে বুঝি স্বর্গ থেকে আশ্রমে এসে ঢুকচে । একটা ভরসা পেলাম, আমাদের আশ্রমটা ভেঙে গেলে তারা না থেয়ে মারা যাবে না, দেশের কোন একটা কলা-ভবনে গিয়ে মডেলের কাজ নিতে পারবে । কমল কহিল, লোকে বলে আপনি আশ্রম তুলে দিচ্চেন, এ কি সত্যি ? সত্যি। তোমার বাক্যবাণ আমার সহ হয় না। সতীশের এখানে আসার সেও একটা হেতু। ওর ধারণা তুমি আসলে ভারতীয় রমণী নও, তাই ভারতের নিগূঢ় সত্য-বস্তুটিকে তুমি চিনতেই পারো না । সেইটি তোমাকে ও বুঝিয়ে দিতে চায়। বুঝবে কি না সে তুমিই জানো ; কিন্তু ওকে আশ্বাস দিয়েচি যে, আমি যাই করি না কেন ওদের ভয় নেই। কারণ চতুর্বিধ আশ্রমের কোন আশ্রমটি অজিতকুমার নিজে গ্রহণ করবেন সঠিক সংবাদ না পেলেও, পরম্পরায় এ-খবরটুকু পাওয়া গেছে যে, তিনি বহু অর্থ-ব্যয়ে এমন দশ-বিশটা আশ্রম নানা স্থানে খুলে দেবেন। ওঁর অর্থও আছে, দেবার সামর্থ্যওঁ আছে। তার একটার নায়কত্ব সতীশের জুটবেই। কমল মুখ টিপিয়া হাসিয়া কহিল, দানশীলতার মত দুস্কৃতি চাপা দেবার এমন আচ্ছাদন আর নেই। কিন্তু ভারতের সত্য-বস্তুটি আমাকে বুঝিয়ে সতীশবাবুর লাভ কি হবে ? আশ্রম তুলে দিতেও আমি হরেনবাবুকে বলিনি, টাকার জোরে ভারতবর্যময় আশ্রম খুললেও আমি অজিতবাবুকে নিষেধ করব না। আমার আপত্তি শুধু ঐটিকে সত্য বলে মেনে নেওয়ায়। তাতে কার কি ক্ষতি ? সতীশ বিনীত-কণ্ঠে বলিল, ক্ষতির পরিমাণ বাইরে দেখা যাবে না। কিন্তু তর্কের জন্য নয়, শিক্ষার্থী হিসেবে গোটা-কয়েক প্রশ্ন যদি করি তার কি উত্তর পাবো না ? কিন্তু আজ আমি বড় শ্রান্ত সতীশবাবু। সতীশ এ আপত্তি কানে তুলিল না, বলিল, হরেনদা এইমাত্র তামাসা করে বললেন, আমি কাণী-ফেরত, যত উচুতেই উঠে থাকি, তার চেয়েও উচু জায়গা সংসারে আছে। সে এই ঘর। আমি জানি, আপনার প্রতি ওঁর শ্রদ্ধার অবধি নেই—আশ্রম ভাঙলে ক্ষতি হবে না, কিন্তু আপনার কথায় ওঁর মন যদি ভাঙে সে লোকসান পূর্ণ হওয়া কঠিন। কমল চুপ করিয়া রহিল। সতীশ বলিতে লাগিল, রাজেনকে আপনি ভাল করেই चॅी:मर्थ, cर्न थांभों★ षः । भूल बिंदप्य भेटउग्न भेिल ब थांकन बांधेॉनग्न रुकूप हाउ পারত না। তার মত ভারতের সৰ্ব্বাঙ্গীন মুক্তির মধ্য দিয়ে খঞ্জাতির পরম কল্যাণ Հ88