পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সং হয় ? যে মাতাল একবার কড়ী-মদ খেতে শিখেচে, জল দেওয়া মদে আর তার মন ওঠে না। নির্জলা বিষের আগুনে কলজে পুড়িয়ে তোলাতেই যে তখন তার মন্ত মুখ । আর একটা জিনিস আমি কিছুতেই ভুলতে পারতুম না । সেটা মজুমদারদের ঐশ্বৰ্য্যের চেহারা । ছেলেবেলা মায়ের সঙ্গে কতদিনই ত তাদের বাড়িতে বেড়াতে গেছি। সেই সব ঘর-দোর, ছবি-দেয়ালগিরি, আলমারি, সিন্দুক, আসবাব-পত্রের সঙ্গে কোন একটা ভাবী ছোট একতালা শ্বশুরবাড়ির কদাকার মূৰ্ত্তি কল্পনা করে মনে মনে আমি যেন শিউরে উঠতুম। মাস-থানেক পরে একদিন সকালবেলা নদী থেকে স্নান করে বাড়িতে পা দিয়েই দেখি বারন্দার ওপর একজন প্রৌঢ়-গোছের বিধবা স্ত্রীলোক মায়ের কাছে বসে গল্প করচে। আমাকে দেখে মাকে জিজ্ঞাসা করলে, এইটি বুঝি মেয়ে ? মা ঘাড় নেড়ে বললেন, ই মা, আমার মেয়ে । বাড়ন্ত গড়ন, নইলে— স্ত্রীলোকটি হেসে বললে, তা হোক, ছেলেটির বয়সও প্রায় ত্রিশ, দু’জনের মানাবে ভাল। আর ঐ শুনতেই দোজবরে, নইলে যেন কাৰ্ত্তিক। আমি ক্রতপদে ঘরে চলে গেলুম। বুঝলুম, ইনি ঘটকঠাকরুণ, আমার সম্বন্ধ ५4८न्निछन्तः । মা চেচিয়ে বললেন, কাপড় ছেড়ে একবার এসে ব’স মা । কাপড় ছাড়া চুলোয় গেল, ভিজে কাপড়েই দোরের আড়ালে দাড়িয়ে কান পেতে শুনতে লাগলুম। বুকের কাপনি মেনচুম্বার থামতে চায় না। শুনতে পেলুম, চিতোর গ্রামের কে একজন রাধামিনে চ মুখুয্যের ছেলে ঘনশ্যাম । পোড়াকপালে না-কি অনেক দুঃখ ছিল, তাই আজ যে নাম জপের মন্ত্র, সে নাম গুনে সেদিন গা জলে যাবে কেন ? . . শুনলুম, বাপ নেই, কিন্তু মা আছেন । ছোট দুটি ভাই, এক ভায়ের বিয়ে হয়েছে, একটি এখনও পড়ে। সংসার বড়রই ঘাড়ে, তাই এনট্রান্স পাশ কয়েই রোজগারের ধানায় পড়া ছাড়তে হয়েচে । ধান, চাল, তিসি, পাট প্রভৃতির দালালি করে উপায় মন করেন না। তারই উপর সমস্ত নির্ভর। བཱ་ཐ” “ཝ་གཱལ་་ শিলা আছেন, দুটো গরু আছে, বিধবা বোন আছে--নেই কি ? নেই শুধু সংসারের বড়বে | সাত বছর আগে বিয়ের একমাসের মধ্যেই তিদি মারা ধান, তার পর এতদিন বাদে এই চেষ্টা । সাত বছর। উৰীৰে উল্পে করে ఇసిe