পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বললুম, জানলে ভালই! কিন্তু তোমার গোয়েন্দার নাম না বল, তিনি কি কি দোষ আমার দিলেন শুনি ? তিনি বললেন, গোয়েন্দা দোষ দেয়নি, কিন্তু আমি দিচ্ছি। আচ্ছা জিজ্ঞেস। করি, এত অল্পে তোমার রাগ হয় কেন ? বললুম, অল্প ? তুমি কি ভাবে তোমাদের ন্যায়-অন্যায়ের বাটখারা দিয়ে সকলের ওজন চলবে ? কিন্তু তাও বলচি, তুমি যে এত বলচ, এ অত্যাচার চোথে দেখলে তোমার রাগ হ’ত । * > তিনি আবার একটু হাসলেন, বললেন, আমি বোষ্টম, আমার ত নিজের উপর অত্যাচারে রাগ করতে নেই। মহাপ্রভু আমাদের গাছের মত সহিষ্ণু হতে বলেচেন, আর তোমাকে এখন থেকে তাই হতে হবে । কেন, আমার অপরাধ ? বৈষ্ণবের স্ত্রী, এইমাত্র তোমার অপরাধ । বললুম, তা হতে পারে, কিন্তু গাছের মত অন্যায় সহ করা আমার কাজ নয়, তা সে, যে প্রভুই আদেশ করুন। তা ছাড়া যে লোক ভগবান পৰ্য্যন্ত মানে না, তার কাছে আবার মহাপ্রভু কি ? স্বামী হঠাৎ যেন চমকে উঠলেন, বললেন, কে ভগবান মানে না ? তুমি ? বললুম, ই, আমি। তিনি বললেন, ভগবান মান না কেন ? বললুম, নেই বলে মানিনে । মিথ্যে বলে মানিনে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছিলুম, আমার স্বামীর হাসি-মুখখানি ধীরে ধীরে স্নান হয়ে আসছিল, এই কথার পরে সে-মুখ একেবারে যেন ছাইএর মত শাদা হয়ে গেল। একটুখানি চুপ করে থেকে বললেন, শুনেছিলুম, তোমার মামা নাকি নিজেকে নাস্তিক বলতেন— আমি মাঝখানেই ভুল শুধরে দিয়ে বললুম, তিনি নিজেকে নাস্তিক বলতেন না, Agnostic RMITER— স্বামী বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, সে আবার কি ? আমি বললুম, Agnostic তারা, যারা ঈশ্বর আছেন বা নেই কোন কথাই বলে না । * কথাটা শেষ না হতেই স্বামী বলে উঠলেন, থাক এ-সব আলোচনা, আমার সামনে তুমি কোনদিন আর এ-কথা মুখে এনে না । \లిe :