পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नांङ्गौनि भूशा । শ্লোকই জানে—আর কিছু জানে না। বিস্তার চরম উদেশ্ব যদি হৃদয় প্রশস্ত করা হয়, তাহাদের অধিকাংশেরই পড়াশুনা ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা একবারও চিন্তা করি না। মেয়ের কত বয়সে বিবাহ দেওয়া উচিত, জিজ্ঞাসা করিলে তাহার শাস্ত্র আওড়ায়, বিধবা-বিবাহ উচিত কি না, জানিতে চাহিলে পুথি খুলিয়া বসে। মিলাইয়া দেখিতে চায়, শ্লোকে কি বলে শাস্ত্র তাহদের দৃষ্টি ক্ষীণ করিয়া রাখিয়াছে। শাস্ত্রের বাহিরে তাহারা দেখিতে পায় না, শাস্ত্রের বাহিরে তাহারা পা বাড়াইতেও পারে না । ইহারা মুখস্থ করিবার ক্ষমতাকেই বুদ্ধি বলিয়া মনে করে, এই মুখস্থ করাটাকেই জ্ঞান বলিয়া জানে। এই জ্ঞান ইহাদের অধিকাংশ অবস্থাতেই যে অমুস্বর-বিসর্গকে অতিক্রম করিতে পারে না, তাহার একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি। মহামহোপাধ্যায় স্বৰ্গীয় চন্দ্রকান্ত তর্কালঙ্কার মহাশয় তাহার শ্ৰীগোপাল মল্লিক ফেলোশিপের দ্বিতীয় লেকচারে নামকরণ-প্ৰণালীর মধ্যে বলিয়াছেন, “কেহ কেহ বলেন, মেরুতন্ত্ৰে লণ্ডন নগরের উল্লেখ আছে, অতএব উহা নিতান্ত আধুনিক। কিন্তু তাহদের বিবেচনা করা উচিত যে, পুরাণাদিতে অনেক ভবিষ্যদুক্তি আছে। মেরুতন্ত্রেও ভবিষ্যদুক্তি স্থলেই লণ্ডন নগরের উল্লেখ আছে। সুতরাং তস্থার মেরুতন্ত্রের আধুনিকত্ব প্রতিপন্ন হইতে পারে না । উহা যে ভবিষ্যদুক্তি, তাহা দেখাইবার জন্ত মেরুতন্ত্র হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত श्रेष्ठ उप्झ পূৰ্ব্বান্মায়ে নবশতং ষড়শীতি: প্রকীৰ্ত্তিত ফিরিঙ্গি ভাষয়া মন্ত্রা যেষাং সংসাধনাৎ কলেী । অধিপামণ্ডলানাঞ্চ সংগ্রামেস্বপরাজিতঃ । ইংরেজা নবযটু পঞ্চ লণ্ড জাশ্চাপিভাবিনঃ ” অথচ, স্বৰ্গীয় অক্ষয় দত্ত মহাশয় ছদ্ম শাস্ত্রকারগণের জুয়াচুরি সপ্রমাণ করিতে মেরুতন্ত্রের এই শ্লোকটাই তাহার ‘ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়ে'র উপক্রমণিকায় উদ্ধৃত করিয়া গিয়াছেন । ইহাদের উভয়ের পাণ্ডিত্যই অতি গভীর ছিল, অথচ একজন যে শ্লোকের অস্তিত্বে শ্লাঘা বোধ করিয়াছেন, আর একজন তাহাকেই ঘূণার সহিত বর্জন করিয়াছেন। এস্থলে কাহার বিচার সমীচীন, তাহা বুঝিতেও যেমন বিলম্ব হয় না, স্বৰ্গীয় মহামহোপাধ্যায় মহাশয়ের মত দেশপ্রসিদ্ধ পণ্ডিতচূড়ামণির মুখে এমন কথা, সংস্কৃত শ্লোকের উপর এতবড় অন্ধবিশ্বাস দেখিয়াও আর আশা-ভরসার স্থান থাকে না। পণ্ডিত মহাশয় আবার নিজেই বলিয়াছেন—মেরুতন্ত্রের প্রামাণ্য সন্দেহ করিবার অন্ত কারণ আছে। তাহা এই—পারস্য ভাষায় ও ফিরিঙ্গি ভাষায় যে-সকল মন্ত্রের কথা বলা হইয়াছে, তত্তম্ভাষাবিদের জানেন যে, বস্তুগত্যা উহাদের অস্তিত্ব নাই। VA(tRN