পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন আণ্ডবাবু মনে মনে অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ হইয়া বলিলেন, ছি মা ! * * কমল রাগ করিল না, বরঞ্চ একটু হাসিল । কহিল, অনেক দিনের দৃঢ়মূল সংস্কারে আঘাত লাগলে মামুষে হঠাৎ সইতে পারে না । আপনি সত্যই বলেচেন, আমার কাছে এ-বস্তু খুবই স্বাভাবিক। আমার দেহ-মনে যৌবন পরিপূর্ণ, আমার মনের প্রাণ আছে। যেদিন জানব প্রয়োজনেও এর আর পরিবর্তনের শক্তি নেই, সেদিন বুঝব এর শেষ হয়েচে—এ মরেচে। এই বলিয়া সে মুখ তুলিতেই দেখিতে পাইল অজিতের দুই চকু দিয়া যেন আগুন বরিয়া পড়িতেছে। কি জানি সে দৃষ্টি মনোরমার চোখে পড়িল কি না, কিন্তু সে কথার মাঝখানেই অকস্মাৎ বলিয়া উঠিল, বাবা, বেলা আর নেই, আমি যা পারি অজিতবাবুকে ততক্ষণ একটুখানি দেখিয়ে নিয়ে আসি ? অজিতের চমক ভাঙিয়া গেল, বলিল, চল, আমরা দেখে আসি গে। আপ্তবাবু খুশি হইয়া বলিলেন, তাই যাও মা, আমরা এইখানেই বসে আছি, কিন্তু একটুখানি শীঘ্ৰ করে ফিরে এসো, না হয় কাল আবার একটু বেলা থাকতে আসা যাবে। Ns অজিত ও মনোরম তাজ দেখিয়া যখন ফিরিয়া আসিল তখন স্বৰ্য অস্ত গিয়াছে, কিন্তু আলো শেষ হয় নাই। সকলে বেশ তাল পাকাইয়া বসিয়াছেন, তর্ক ঘোরতর হইয়া উঠিয়াছে। তাজের কথা, বাসায় ফিরিবার কথা, এমন কি অজিত-মনোরমার কথা পৰ্য্যন্ত র্তাহীদের মনে নাই। . অক্ষয় নীরবে ফুলিতেছেন, দেখিয়া সন্দেহ হয়, রব তিনি ইতিপূৰ্ব্বে যথেষ্টই করিয়াছেন, এখন দম লইতেছেন। আপ্তবাবু দেহের অধোভাগ চক্রের বাহিরের দিকে প্রসারিত করিয়া উৰ্দ্ধভাগ দুই হাতের উপর গুস্ত করিয়া গুরুভার বহন করিবার একটা উপায় করিয়া লইয়া অত্যন্ত মনু-দৰ্ম শুনিতেছেন। অবিনাশ সন্মুখের দিকে অনেকখানি ঝুকিয়া খরুদুষ্টতে কমলের প্রতি চাহিয়া আছেন। বুঝা গেল সম্প্রতি সওয়াল জবাব এটু-দুর্জনের মধ্যেই আবদ্ধ ইয়া আছে। সকলেই আগৰকরে প্রতি মূৰ তুপর্ণ গছিলেন। কেহ বাট 罗r