পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎসাহিত্য-সংগ্রই র্তাহার কুষ্ঠিত বিক্ষুব্ধ মুখের প্রতি চাহিয়া কমল হাসিয়া বলিল, তখন মুনিঋষিদের বংশধর বলে হয়ত চেনা যাবে না, কিন্তু মাছুষ বলে চেনা যাবে। আর আপনার র্যাকে ভগবান বলেন তিনিও চিনতে পারবেন, তার ভুল হবে না। অক্ষয় উপহাসে মুখ কঠিন করিয়া বলিলেন, ভগবান শুধু আমাদের ? আপনার নয় ? কমল উত্তর দিল, না । o অক্ষয় বলিলেন, এ-শুধু শিবনাথের প্রতিব্বনি, শেখানে বুলি । হরেক্স কহিল, ক্রটু। দেখুন হরেন্দ্রবাবু দেখেচি । বিষ্ট । আগুবাবু সহসা যেন স্বপ্নোখিতের স্থায় জাগিয়া উঠিলেন। কহিলেন, তাখে। কমল, অপরের কথা বলতে চাইনে, কিন্তু আমাদের ভারতীয় বৈশিষ্ট্য শুধু কথার কথা নয়। এ যাওয়া যে কতবড় ক্ষতি তার পরিমাণ করা দুঃসাধ্য। কত ধৰ্ম্ম, কত আদর্শ, কত পুরাণ, ইতিহাস, কাব্য, উপাখ্যান,—শিল্প—কত অমূল্য সম্পদ এই বৈশিষ্ট্যকে আশ্রয় করেই ত আজও জীবিত আছে। এর কিছুই ত তা হলে থাকবে না ? কমল কহিল, থাকবার জন্যই বা এত ব্যাকুলত কেন ? যা যাবার নয় তা যাবে না। মামুষের প্রয়োজনে আবার তার নতুন রূপ, নতুন সৌন্দৰ্য্য, নতুন মূল্য নিয়ে দেখা দেবে। সেই হবে তাদের সত্যিকার পরিচয় । নইলে বহুদিন ধরে কিছু একটা আছে বলেই তাকে আরও বহুদিন আগলে রাখতে হবে এ কেমন কথা ? অক্ষয় বলিলেন, সে বোঝবার শক্তি নেই আপনার । হরেন্দ্র কছিল, আপনার অভদ্র ব্যবহারে আমি আপত্তি করি অক্ষয়বাৰু। আগুবাবু বলিলেন, কমল, তোমার যুক্তিতে সত্য যে নেই তা আমি বলিনে, কিন্তু যা তুমি অবজ্ঞায় উপেক্ষা করচ, তার ভেতরেও বহু সত্য আছে। নানা কারণে আমাদের সামাজিক বিধি-ব্যবস্থার পরে তোমার আশ্রদ্ধা জন্মেচে । কিন্তু একটা কথা ভুলে না কমল, বাইরে অনেক উৎপাত আমাদের সইতে হয়েচে, তবু যে আজও সমস্ত বিশিষ্টতা নিয়ে বেঁচে আাছি সে কেবল আমাদের সত্য আশ্রয় ছিল বলেই । জগতের অনেক জাতিই একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেছে । কমল বলিল, তাতেই বা দুঃখ কিসের? চিরকাল ধরেই যে তাদের জায়গা জুড়ে বসে থাকতে হবে তারই বা আবশ্বক কি ? জাপ্তবাবু বলিলেন, এ অস্ত কথা কমল । Ꮏ☾