পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেনা-পাওনা উপরে গিয়া পড়িল । সে প্রাঙ্গণের বাহিরে দাড়াইয়া একমনে বেড়ার দড়ি বাধিতেছিল, আগন্তুকের পদশব্দ শুনিতে পাইল না, এবং ক্ষণকালের জঙ্গ নিৰ্ম্মল না পারিল নড়িতে, না পার্লি চোখ ফিরাইতে । এই ত সেদিন, তবুও তাহার মনে হইল এ সে ভৈরবী নয় । অথচ পরিবর্তন যে কোনখানে তাহাও ধরিতে পারিল না । সেই হাঙ-পাড়ের গৈরিক শাড়িপরা, তেমনি রুক্ষ এলে চুল, গলায় তেমনি রুদ্রাক্ষের মালা, তেমনি মুখের উপরে উপবাসের একটি শীর্ণ ছায়া—সিদুর-মাখানে ত্রিশুলটি পৰ্য্যন্ত তেমনি হাতের কাছে ঠেস দিয়া রাখা—কিছু বদলায় নাহ, তবুও অপরিচিত, BBBS BB BBBB BBBBBB BBB BBB BBB BB S DBB BB টানিয়া দিয়া ষোড়শী মুখ তুলিয়াই একটু চমকিত হইল, কিন্তু পরক্ষণেই দড়ি ছাড়িয়া দিয়া স্নিগ্ধ-মধুর হাসিয়া স্বমুখে আসিয়া কহিল, আসুন, আমার ঘরে আস্বন। BBB BBBB DBB BBiS BB BBBBB BB BB SBBS ttBB S ষোড়শী সকৌতুকে যুঁচকিয়৷ হাসিয়া কহিল, বেড় বাধা বুঝি আমার কাজ ? আর হলোই বা কাজ, কুটুম্বকে খাতিল করাটা বুঝি কাজ নয় ? শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের আদর হয়নি, কিন্তু শালীর কুঁড়ে-ঘর থেকে ভগিনীপতিকে অনাদরে ফিরতে দেব না। আম্বন, ঘরে গিয়ে বসবেন চলুন । খোক, হৈম, চাকর-বাকর সব তাল আছে ? আপনি নিজে ভাল আছেন ? নিৰ্ম্মল কেমন সঙ্কুচিত হইয়া পড়িল । ঘাড় মাড়িয়া কহিল, সবাই ভাল আছে, কিন্তু আজি আর বসব ন। ষোড়শী কহিল, কেন শুনি ? তার পরে কণ্ঠস্বর মত কুরিয়া আরও একটু কাছে আসিয়া বলিল, একদিন হাত ধরে অন্ধকারে পার করে এনেছিলাম মনে পড়ে ? দিনের বেলায় গুতে আর কাজ নেই, কিন্তু চলুন বলচি । যে এত দূর থেকে টেনে আনতে পারে, সে এটুকুও টেনে নিয়ে যেতে পারবে । নিৰ্ম্মল লজ্জা বোধ করিল, আঘাত পাইল । এই আচরণ, এই কথা ষোড়শার মুখে কেবল অপ্রত্যাশিত নয়, অচিন্তনীয়। বিদুধী সন্ন্যাসিনী ভৈরবীকে সে শাস্ক, সমাহিত, দৃঢ়, এমন কি কঠোর বলিয়া জানিত। সংসারে রমণীর পর্য্যায়ভুক্ত করিয়া কল্পনা করিতে যেন তাহার বাধিত । তাহাকে অনেক ভাবিয়াছে—কর্মের মধ্যে, বিশ্রামের মধ্যে এই ষোড়শীকে সে চিন্তা করিয়াছে—সমস্ত অস্তুর রসে ভরিয়া উঠিয়াছে—কিন্তু কখনও চিন্তাকে সে পদ্ধতি দিবার, শৃঙ্খলিত করিবার সাহস পৰ্য্যস্ত করে নাই। কিন্তু সেই ষোড়শী আজ যখন অপ্রত্যাশিত জাষ্ট্ৰীযুতার অতি-ঘনিষ্ঠতায় অকস্মাৎ নিজেকে ছোট করিয়া, মানবী করিয়া সাধারণ মানবের কামনায় আয়ত্ত্বাধীন করিয়া দিল, নিৰ্ম্মল অন্তরের একপ্রাস্তে যেমন বেদনা বোধ করিল, נסיג