পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহ ঘুষ না আসিত, নিজের মনে বিচার করিয়া দেখিত। প্রতি কথাটি তাহার মনের উপর গভীরভাবে মুদ্রিত হইয়া উঠিতেছিল। সে মনে মনে বলিত, যথার্থই গিরীনবাবুর কথাগুলি অতিশয় কায়সঙ্গত। মামাকে সে অত্যন্ত ভালবাসিত, সেই মামার স্বপক্ষে টানিয়া গিরীন যাহাই কিছু বলিত, সমস্তই তাহার কাছে অভ্রান্ত সত্য বলিয়া মনে হইত। তাহার মামা বিশেষ করিয়া তাহারি জন্ত ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠিতেছে, অন্ন-জল পরিত্যাগ করিতেছে— তাহার নির্বিবরোধী দুঃখী মামা তাহাকে আশ্রয় দিয়াই—এত ক্লেশ পাইতেছে। কিন্তু কেন ? কেন মামার জাত যাবে ? আজ আমার বিয়ে দিয়ে, কাল যদি বিধবা হয়ে ফিরে আসি, তা হলে ত জাত যাবে না। অথচ তফাৎ কিসের ? গিরীনের এই সমস্ত কথার প্রতিধ্বনি সে তাহার ভারাতুর হৃদয় হইতে বাহির করিয়া আর একবার তন্ন তন্ন করিয়া আলোচনা করিতে করিতে ঘুমাইয়া পড়িত। তাহার মামার হইয়া, মামার দুঃখ বুঝিয়া, যে কেহ কথা কহিত, তাহাকে শ্রদ্ধা না করিয়া, তাহার মতের সহিত মত না মিলাইয়া ললিতার অন্য পথ ছিল না। সে গিরীনকে আস্তরিক শ্রদ্ধা করিতে লাগিল । ক্রমশঃ গুরুচরণের মত সেও সন্ধ্যার চা-পানের সময়টির জন্য অপেক্ষা করিয়া থাকিত । পূৰ্ব্বে গিরীন ললিতাকে আপনি বলিয়া ভাঙ্কিত। গুরুচরণ নিষেধ করিয়া বলিয়াছিলেন, ওকে আবার ‘আপনি কেন গিরীন, "তুমি' বলে ডেকে । তখন হইতে সে তুমি বলিয়া ডাকিতে শুরু করিয়াছিল। একদিন গিরীন জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, তুমি চা খাও না ললিতা ? ললিতা মুখ নীচু করিয়া ঘাড় নাড়িলে, গুরুচরণ বলিয়াছিলেন, ওর শেখরদায় বারণ আছে । মেয়েমানুষের চা খাওয়া সে ভালবাসে না । হেতু শুনিয়া যে গিরীন স্বী হইতে পারে নাই, ললিতা সেটুকু বুঝিতে পারিয়াছিল। আজ শনিবার। অন্যদিনের অপেক্ষ এই দিনটার সভা ভাঙিতে অধিক বিলম্ব হইল। চা খাওয়া শেষ হইয়া গিয়াছিল, গুরুচরণ আজ আলোচনায় তেমন উৎসাহের সহিত যোগ দিতে পারিতেছিলেন না, মাঝে মাঝে কি একরকম অন্তমনস্ক হইয়া পড়িতেছিলেন। গিরীন সহজেই তাহ লক্ষ্য করিয়া প্রশ্ন করিল, আজ আপনার দেহটা বোধ করি তেমন ভাল নাই ? গুরুচরণ ছকাটা মুখ হইতে সরাইয়া লইয়া বলিলেন, কেন ? দেহ ত বেশ खोजहे अरह । Հ ֆց