পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিণীত। ললিতা মুখ না তুলিয়াই আস্তে আস্তে বলিল, শেখরদ চ থান না। গিরীন আর কিছু বলিল না, ললিতার নিজের কথা তাহার মনে পড়িয়া গেল ! শেখর নিজেও এটা খায় না, অপরে খায় তাহাও ইচ্ছা করে না। চায়ের বাটি হাতে তুলিয়া লইয়া গুরুচরণ পাত্রের কথা পাড়িলেন । ছেলেটি বি. এ. পড়িতেছে, ইত্যাদি বিস্তর মুখ্যাতি করিয়া শেষে বলিলেন, অথচ আমাদের গিরীনের পছন্দ হয়নি। অবশু ছেলেটি দেখিতে তেমন স্বত্র নয় বটে, কিন্তু পুরুষমানুষের রূপ আর কোন কাজে লাগে, গুণ থাকলেই যথেষ্ট। কোনমতে বিবাহটী হইয়া গেলেই গুরুচরণ নিশ্বাস ফেলিয়া বাচেন । শেখরের সহিত গিরীনের এইমাত্র সামান্ত পরিচয় হইয়াছিল। শেখর তাহার দিকে চাহিয়া একটুখানি হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, গিরীনবাবুর পছন্দ হলো না কেন ? ছেলেটি লেখাপড়া করছে, অবস্থাও ভাল,—এই ত স্থপাত্র । শেখর জিজ্ঞাসা করিল বটে, কিন্তু সে ঠিক বুঝিয়াছিল কেন ইহার পছন্দ হয় নাই এবং কেন ভবিষ্যতেও হইবে না । কিন্তু গিরীন সহসা এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিল না, তাহার মুখ ঈষৎ রক্তাভ হইল, শেখর তাহাও লক্ষ্য করিয়া উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল, কাকা, কাল মাকে নিয়ে পশ্চিম চললুম, ঠিক সময়ে খবর দিতে যেন ভুলে যাবেন না । গুরুচরণ বলিলেন, সে কি বাবা, তোমরাই যে আমার সব । তা ছাড়া, ললিতার মা উপস্থিত না থাকলে ত কোন কাজই হতে পারবে না । কি বলিস মা ললিতা ? বলিয়া হাসিমুখে ঘাড় ফিরাইয়া বলিলেন, সে উঠে গেল কখন ? শেখর কহিল, কথা উঠতেই পালিয়েছে। গুরুচরণ গম্ভীর হইয়া বলিলেন, পালাবে বৈ-কি-হাজার হোক জ্ঞানৰুদ্ধি হয়েচে ত। বলিয়া সহসা একটা ক্ষুদ্র নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, মা আমার একাধারে যেন লক্ষ্মী-সরস্বতী ! এমন মেয়ে বহু ভাগ্যে মেলে শেখরনাথ ! কথাটা উচ্চারণ করতেই তার শীর্ণ কৃশ মুখের উপর গভীর মেহের এমন একটা স্কিন্ধ-মধুর ছায়াপাত হইল যে, গিরীন ও শেখর উভয়েই আন্তরিক শ্রদ্ধার সহিত র্তাহাকে মনে মনে নমষ্কার না করিয়া থাকিতে পারিল না। 镇被德 چ وسex