পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিণীত পারিল না, দোঁড়িয়া আসিয়া নিজের ঘরের মধ্যে চুকিয়৷ একেবারে চোখ বুজিয়া বিছানায় গুইয়া পড়িল । এই পাঁচ-ছয় বৎসর ধরিয়া সে শেখরের ঘনিষ্ঠ সংস্রবে মাহুষ হইয়া উঠিয়াছে, কিন্তু কোনও দিন এমন কথা শোনে নাই। একে ত গম্ভীর প্রকৃতি শেখর কখনই তাহাকে পরিহাস করিত না, করিলেও এতবড় লজ্জাকর পরিহাস যে তাহার মুখ দিয়া বাহির হইতে পারে, ইহা সে ত কল্পনা করিতে পারিত না । লজ্জায় সঙ্কুচিত হইয়া মিনিটকুড়ি পড়িয়া থাকিয়া সে উঠিয়া বসিল । অথচ শেখরকে সে মনে মনে ভয় করিত, তিনি বিশেষ কাজ আছে বলিয়া ডাকিয়া ছিলেন, তাই যাইবে কি না ইহাই ললিত উঠিয়া বলিয়া ভাবিড়েছিল । ও-বাড়ির ঝির গলা শোনা গেল, ললিতাদি কোথায় গা, ছোটবাবু একবার ডাকচেন— ললিত বাহিরে আসিয়া মৃদ্ধস্বরে বলিল, যাচ্ছি, যাও। উপরে আসিয়া কবাট ফাক করিয়া দেখিল শেখর তখনও চিঠি লিখিতেছে। কতক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া আস্তে আস্তে বলিল, কেন ? শেখর লিখিতে লিখিতে বলিল, হঠাৎ কি একটা কাজ করে ফেললে বল ত ? ললিত রুষ্টভাবে বলিল, যাও—আবার ! শেখর মুখ ফিরাইয়া বলিল, আমার দোষ কি ! তুমিই ত করে গেলে— কিছু করিনি—তুমি ওটা ফিরিয়ে দাও। শেখর কহিল, সেইজন্যই ত ডেকে পাঠিয়েচি ললিতা। কাছে এসো, ওটা ফিরিয়ে দিচ্চি। তুমি অর্ধেকটা করে গেছে, সরে এসো, আমি সেটা সম্পূর্ণ করে দি। ললিতা দ্বারের অন্তরালে ক্ষণকাল মৌনভাবে থাকিয়া বলিল, সত্য বলচি তোমাকে, ওরকম ঠাট্টা করলে আর কোনদিন তোমার সামনে আসবো না-বলচি, ওটা ফিরিয়ে झो७ ! শেখর টেবিলের দিকে মুখ ফিরাইয়া মালাট তুলিয়া লইয়া বলিল, নিয়ে যাও। छूत्रि मैथॉन cष८क छूtफ़ कe । শেখর ঘাড় নাড়িয়া বলিল, কাছে না এলে পাবে না । তবে আমার কাজ নেই, বলিয়া ললিত রাগ করিয়া চলিয়া গেল । শেখর চেচাইয়া বলিল, কিন্তু অৰ্দ্ধেকটা হয়ে থাকলো— থাকে থাক, বলিয়া ললিতা যথার্থই রাগ করিয়া চলিয়া গেল । ; সে চলিয়া গেল বটে, কিন্তু নীচে গেল না। পূৰ্ব্বদিকে খোলা ছাদের একান্তে গিয়া ৱেলিঙ ধরিয়া চুপ কৰিয়া দাড়াইল। তখন সম্মুখের আকাশে চাদ উঠিয়াছিল এবং শীতল পাণ্ডুর জ্যোৎস্নায় চারিদিক ভাসিয়া যাইতেছিল। উপরে স্বচ্ছ নিৰ্ম্মল নীলাকাশ । লে একবার শেখরের ঘরের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া উৰ্দ্ধমুখে চাহিয়া রহিল। এইবার RR3