পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দর্পচূৰ্ণ বিমলা হাসিয়া ফেলিয়া বলিল, লেগে রয়েচে তোমার কথা শুনে। ওগো বোঁ, অনেক পেয়েচ বলেই এত কথা বেরুচ্চে । ইন্দু ক্রুদ্ধমুখে জিজ্ঞাসা করিল, না পেলে ? বেরুত না । ভুল—নিছক ভূল। ঠাকুরবি, সকলেই তোমার মত নয়—সকলেই ভিক্ষে চেয়ে বেড়ায় না। আত্মগৌরব বোঝে এমন নারীও সংসারে আছে। এবার বিমলার মুখের হাসি ধীরে ধীরে মিলাইয়া গেল ; বলিল, তা জানি । জানলে আর বলতে না । যাই হোক, এখন থেকে জেনে, যে ভিক্ষে চায় না, নিজের জোরে আদায় করে এমন লোকও আছে । বিমলা ব্যথিত স্বরে বলিল, আচ্ছা । এই যে বাড়ি এসে পড়েচি ( একবার নামবে না কি ? না:–আমিও বাড়ি যাই । গাড়োয়ান, ঐ ও গলিতে— দাদাকে আমার প্রণাম দিও বোঁ ! দেবো, –গাড়োয়ান, চলো— S. আর নেই–সংসার-খরচের কিছু টাকা দিতে হবে ষে । স্ত্রীর প্রার্থনায় নরেন্দ্র আশ্চৰ্য্য হইল। কহিল, এর মধ্যেই দুশো টাকা ফুরিয়ে গেল ? না গেলে কি মিথ্যে বলচি, না, লুকিয়ে রেখে চাইচি ? নরেন্দ্রের চোখে একটা ভয়ের ছায়া পড়িল । কোথায় টাকা ? কি করিয়া সংগ্ৰহ করিবে ? সেই মুখের ভাব ইন্দু দেখিল, কিন্তু ভুল করিয়া দেখিল। কহিল, বিশ্বাস না হয়, এখন থেকে একটা খাত দিয়ে, হিসেব লিখে রাখব। কিংবা এক কাজ কর না—খরচের টাকাকড়ি নিজের হাতেই রেখেী—তাতে তোমারও ভয় থাকবে না, আমিও সংশয়ের লজ্জা থেকে রেহাই পাব। বলিয়া তীব্র-দৃষ্টিতে চাহিয়া দেখিল র্তাহার মুখের গাঢ় ছায়া গাঢ়তর হইয়াছে। নরেন্দ্র ধীরে ধীরে বলিল, অবিশ্বাস করিনি, কিন্তু— কিন্তু কি ? বিশ্বাসও হয় না—এই ত, আচ্ছা যাচ্ছি, যতটা পারি হিসেব লিখে 있