পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বাহির হইল না। আদালতের বিচারে তাহার দশ টাকা জরিমান হইয়া গেল । এবার শুভচণ্ডীর পূজা হইল না বটে, কিন্তু পরদিন দেখা গেল কতকগুলো ছেলে দল পাকাইয় গুরুচরণের পিছনে পিছনে হৈ চৈ করিয়া চলিয়াছে। গয়লানী-মারার গানও একটা ইতিমধ্যে তৈরি হইয়া গিয়াছে । ولا রাত্রি বোধ হয় তখন আটটা হইবে, হরিচরণের বৈঠকখানা গম্‌ গম্‌ করিতেছে, গ্রামের মুরুবিবরা আজকাল এইখানে আসিতে আরম্ভ করিয়াছেন, অকস্মাৎ একজন আসিয়া বড় একটা মজার খবর দিল। কামারদের বাড়ির ছেলেরা বিশ্বকৰ্ম্ম পূজাউপলক্ষ্যে কলিকাতা হইতে জন-দুই খ্যামটা আনাইয়াছে, তাহারই নাচের মজলিসে বসিয়া গুরুচরণ । হরিচরণ হাসিয়া লুটাইয়া পড়িয়া কহিল, পাগল ! পাগল ! শোন কথা একবার । দাদা গেছে খ্যামটার নাচ দেখতে ! কোন গুলির আডড থেকে আসা হচ্ছে অবিনাশ ? অবিনাশ মাইরি দিব্বি করিয়া বলিল, সে স্বচক্ষে দেখিয়া আসিয়াছে। একজন ছুটিয়া চলিয়া গেল সঠিক সংবাদ আনিতে। মিনিট-দশেক পরে ফিরিয়া আসিয়া জানাইল, সে খবর সর্বাংশেই সত্য। আর শুধু নাচ দেখাই নয়, রুমালে বাধিয়া প্যাল দিতেও সে এইমাত্র নিজের চোখে দেখিয়া আসিল। একটা হৈ চৈ উঠিল। কেহ বলিল, এমন যে একদিন ঘটিবে তাহা জানা ছিল । কেহ কহিল, যেদিন বিনা দোষে স্ত্রীলোকের গায়ে হাত দিয়েচে সেইদিনই সব বুঝা গেছে। একজন ছেলের ডাকাতির উল্লেখ করিয়া কহিল, ঐ থেকে বাপের চরিত্রও আন্দাজ কয়া যায়। এমন কত কি ! আজ কথা কহিল না শুধু হরিচরণ। সে অন্যমনস্কের মত চুপ করিয়া বসিয়া রহিল । তাহার কেমন যেন আজ ছেলেবেলার কথা মনে হইতে লাগিল, এ কি তাহার বড়দা ! এ কি গুরুচরণ মজুমদার । בטאכא