পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগামী কাল যে চাকরটা তামাক বদলে দিতে ঢুকেছিল তাকে বললে, গোপাল, নীচে থেকে মণিদিদিকে ডেকে দিয়ে যা তো। জলধি, পরের কাছে লজ্জাই যদি বোধ করো— না না দাদা, পর কোথায় ? যে সব মহাত্মাদের মাঝে ঘোর-ফেরা করি তারা সবাই অন্তরঙ্গ, সবাই আত্মীয়। তাদের অজানা কিছুই নেই। বছর-দশেক স্বদেশসেবাব্রতে লেগে আছি, লজ্জা থাকলে বাচবো কেন ? চাকরটা গুড়গুড়ির মাথায় কলকে রেখে নীচে যাচ্ছিলো, জলধি তাকে বারণ করে বললে, গোপাল তোর কাজে যা । একটু হেসে বললে, মণিমালা আসেনি এককড়িদা, মিছে সিড়ি ভাঙিয়ে ওকে লাভ কি ? আসেনি ? এমনধারা ত কখনো হয় না ! হয় না বলেই হতে নেই দাদা? আজ তার দেহটা একটু বে-এজার—আমিই আসতে বারণ করে দিয়েছি । কিন্তু অধিবেশনের কাগজপত্র ? কাগজপত্র আজ থাকু গে। এককড়ি চিন্তিত-স্বরে বললে, যাদের কখনো কিছু হয় না, তাদের একটা কিছু হলে সহজে সারতে চায় না। ভয় হয় পাছে ওকে ভোগায়। জলধি চুপ করে রইলো। এককড়ি বলতে লাগলো, চমৎকার মেয়ে। যেমন বিস্তে-বুদ্ধি, তেমনি চরিত্রের নিৰ্ম্মলতা, সাহসও তেমনি,—ভয় কাকে বলে জানে না। জলধি সায় দিয়ে বললে, সাহস আছে তা মানি । আমাদের গোপাল ওর বাসা চেনে। সন্ধ্যার পরে তাকে পাঠাবো। যদি ডাক্তারের দরকার হয়, দত্ত সাহেবকে ডেকে নিয়ে যাবে। ডাক্তার-বষ্ঠির দরকার হবে না এককড়িদা, বরঞ্চ গোপালকে দিয়ে বলে পাঠাবেন আর বেশি অত্যাচার না করে। কিন্তু অত্যাচার ত সে করে না জলধি । আপনি বড় সেকেলে দাদা ! সব তাতেই পূৰ্ব্বকালের দোহাই পাড়েন, পরিবর্তন মানতে চান না । সে যা হোক গে, মণিমালা এখন যা শুরু করেছেন সাধারণ মানুষে তাকে অত্যাচার না বলে পারে না। ওর বাসায় গিয়ে দেখলাম বিছানায় শুয়ে, আর সেই বন্ধুটি শিয়রে বসে দিচ্ছে মাথা টিপে । এককড়ি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলে, বন্ধু আবার কে ? এ-কথা ত কখনো শুনিনি । আবার সেই পূৰ্ব্বকালের নজির। কিন্তু তে হি নো দিবস। গতা—বন্ধু কিছু দিন হ’লো এসেছেন। কোথায় না কি আগে আলাপ হয়েছিল। চোখ রাঙ্গা, গলা তুভেঙ্গেছে ; জিজ্ঞেস করলাম, ঠাণ্ড লাগালে কি করে মণি মণি লোকটিকে ר 8ס\