পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ অর্থাৎ, কল্যাণ-সজের পক্ষ থেকে মণিমালার এই হবে বিদার অভিনন্দন । নী দাদা, মাপ করুন, রাজি হতে পারলাম না। আর কিছু না মনে করি, সঙ্ঘের কল্যাণে এই তিনটে বছর তার অবিশ্রান্ত খাটুনি ভুলতে পারবে না। ভোলার কথা নয় হে জলধি, কিন্তু উপায় কি ? আমাদের কাগজপত্রে মণির বদলে অজয়ের দস্তখত দেখলে লোকে কারণটা জানতে চাইবেন, তখন ঢাকবে কি করে ? জলধি কথাটা ভাল বুঝতে পারলে না,—অজয় আবার কে এলো দাদা ? এককড়ি বললে, সেই ত মণির জায়গায় কাজ করবে। Economics-এ এম. এ., একটুর জন্তে first classটা গেছে, নইলে যে-কোন কলেজে দেড়-শ টাকা তার ঘোচায় কে ? মাইনে বাড়াতে হয়নি,-পঞ্চাশ টাকাতেই রাজি হ’লো। কুড়িয়ে পাওয়া বললেই হয় । জলধির রাগের সীমা রইলো না, কিন্তু যথাসাধ্য চেপে রেখে প্রশ্ন করলে—রস্তুটি কুড়িয়ে পেলেন কখন ? আজ সকালেই । অজয়ের বাপের সঙ্গে সামান্য পরিচয় ছিল, বছরখানেক ধরে সে ছেলের জন্যে একটা সুপারিশ চিঠি চাইছিল মামার ওপরে। নানা কারণে দিতে পারিনি, তাই— তাই মামার দায় আমার কাধে চাপালেন ? না হে না। সে কাল থেকে যখন অফিসের ভার নেবে, তার কাজ দেখে তুমি খুশী হবে। মণির চেয়ে অযোগ্য হবে না বলে দিলাম— জলধি আর তর্ক করলে না। ক্ষণকাল চুপ করে থেকে বললে, আসলে আপনার প্রকৃতিটা বড় নিৰ্ম্মম, এককড়িদা । আমি নিজে যদি কখনো বিদায় নিই, কেবল এই জন্তেই নেবো। ইতিমধ্যে আপনার গণেশের কলম চলতে থাকৃ, আমি উঠলাম। এই বলে সে ক্ষুদ্র একটা নমস্কার করে ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল, এককড়ি ডেকে বললে, কোথায় যাচ্ছ জলধি ? - যাবার মুখ নেই, তবু যেতে হবে। পুরুষত্ব বলুন, মহাত্ব বলুন, দেশের পায়ে আজো একেবারে জলাঞ্জলি দিতে পারিনি। মায়ামমতা আজও যেন বুকের মধ্যে কোথায় বেঁধে এককড়িদা । অর্থাং মণির বাসায় গিয়ে তাকে একটু সাত্ত্বনা দিতে চাও? সানা দেবার দরকার হবে না, এটুকু অন্ততঃ তাকে জানি। সে যাই হোক আমি হলে কিন্তু এমন সরাসরি জবাব দিতাম না,–এবারের মত শুধু একটা warning দিয়েই পালা শেষ করতাম । - শুনে এককড়ি প্রথমটা গভীর হলো তার পরে হঠাৎ হেসে ফেলে বললে, দূর \ope