পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগামী কান্স গাধা ! তোর পালা আরম্ভ করার বুদ্ধিটাও যেমন অসাধারণ, পালা শেষ করার ফন্দিটাও তেমনি চমৎকার। এই warning দেবার মতলব কে যোগালেন ? এই বুঝি তারে চিনেছিস্ এতদিন একসঙ্গে কাজ করে । জলধি এ তিরস্কারের উত্তর খুজে না পেয়ে হতবুদ্ধির মতে চেয়ে রইলো। এককড়ি বলতে লাগলো, তার আচরণ আমরা অনুমোদন করিনে, এই ধরণের স্বেচ্ছাচার অামার ভাল লাগে না । অতএব, বিদায় দেওয়া হ’লো এ-কথাটা মণি অনায়াসে বুঝবে, কিন্তু তোর চোখ রাডিয়ে ধমক দেওয়া বুঝবে না। বরঞ্চ, এইজন্যে সে কৃতজ্ঞ থাকবে যে, আমরা তার সংশ্রব ত্যাগ করেছি, কিন্তু অসম্মান করিনি ? বলিনি, প্রভুর রুচির সঙ্গে ভূত্যের রুচি মেলেনি বলে এবার শুধু তার কান মলে দেওয়া হ’লে, ভবিষ্যতে নাক কেটে দেওয়া হবে। জলধি আস্তে আস্তে জিজ্ঞাসা করলে, তা হলে জবাবটা একেবারে settled ? এর নড়াচড় হতে পারবে না ? না, কল্যাণ-সক্তেঘর নামটা তার জন্যে পালটাতে পারয়ো না । জবাব শুনে জলধি বহুক্ষণ পৰ্য্যন্ত নীরবে নতমুখে বসে রইলো ; তার পরে মুখ তুলে অমৃতপ্ত স্বরে ধীরে ধীরে বললে—এবারের মতো আমার অভিযোগটা আমি প্রত্যাহার করছি এককড়িদা । এবার তাকে আমি ক্ষমা করতে প্রস্তুত। এককড়ি ঘাড় নেড়ে বললে, আমি প্রস্তুত নয় জলধি । কিন্তু সত্যই সে কোন অপরাধ করেছে কি না তাও বিচার করবেন না ? সত্যিকার অপরাধ তুই কারে বলিস জলধি ? যা ইঙ্গিত করেছিস তা-ই –ন দোষ সে কখনো করেনি, কখনো করবে না । তবু বিদায় করে দেবেন। ই। তবুও। আমাদের মধ্যে ওকে রাখতে পারবে না। কতখানি বিপদের মধ্যে তাকে ঠেলে দিচ্ছেন একবার তাও চিস্তা করবেন না ? সে চিন্তায় লাভ ? বিপদকে সে ভয় করে না কি ? তোর হলে চিন্তা করতাম। এই বলে এককড়ি একটু হেসে গুড়গুড়ির নলটা তুলে নিয়ে মুখে দিলে। জলধি গম্ভীর মুখে উঠে দাড়িয়ে বললে, চললাম। এককড়ি তামাকের ধুয়ার সঙ্গে আবার একটু হেসে বললে, কাল একবার আসিস। বুঝেছি, তোর আসল মতলব ছিল মণিকে ধমকানো-জবাব দেওয়া নয়। যখন সেখানে যাচ্ছিল, তখন কথা উঠলে বলিস, জবাব তাকে আমিই দিয়েছি—তুই নয়, তুই বরঞ্চ তাকে রাখতে চেয়েছিলি । জলধি ভেবে পেলে না কথাটা তামাসা, না আর কিছু। অন্তর মর্যাম্ভিক জলে গেল, কিন্তু প্রকাশ না করে শুধু বললে, অত্যন্ত বাহুল্য কথা এককড়িা। জবাধ । wo ●平一3●