পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ब्र९-लांश्छिी-नरॐह করে দাও। এই বলিয়া সে যে দ্বার দিয়া ষোড়শী কয়েক মুহূৰ্ত্ত পূৰ্ব্বে অন্যত্র সরিয়া গিয়াছিল, সেইদিকে উৎসুক-চক্ষে চাহিয়া রহিল। কিন্তু কেহই ফিরিয়া আসিল না। মিনিট দুই-তিন পরে তাহার অধৈর্ধ্য আর মানা মানিল না, কহিলেন, ওঁকে একবার ডেকে দিয়ে তুমি যাবার একটা ব্যবস্থা কর গে এককড়ি । আজ যাওয়া আমার চাই-ই । এ সঙ্কেত এককড়ি চক্ষের নিমিষে বুঝিল, এবং যে আজ্ঞে হুজুর, বলিয়া তৎক্ষণাৎ প্রস্থান করিল। কিন্তু ফিরিয়া আসিতে তাহার বিলম্ব হইতে লাগিল ; এবং মিনিটপনের বিলম্বে যখন সে যথার্থই আসিল, তখন একাকীই আসিল ; কহিল, তিনি নেই, বাড়ি চলে গেছেন হুজুর ! জীবানন্দ বিশ্বাস করিতে পারিল না। ব্যগ্র ব্যাকুল-কণ্ঠে বলিয়া উঠিল, আমাকে না জানিয়ে চলে যাবেন ? এমন হতেই পারে না এককড়ি । বিশ্বাস করা সত্যই কঠিন । অলকা কোন ব্যবস্থা না করিয়াই চলিয়া গেল, একটা কথা বলিয়া গেল না—ডাক্তারের অভিমতটুকু শুনিয়া যাইবার পর্য্যস্ত তাহার ধৈৰ্য্য রহিল না -এ কথা জীবানন্দ কিছুতেই যেন মনের মধ্যে গ্রহণ করিতে পারিল না । এককড়ি বলিল, ই হুজুর, তিনি ডাক্তারবাবু যাবার পরেই চলে গেছেন। বাইরে গোপাল কাওরা বসে আছে, সে দেখেচে ভৈরবী সোজা চলে গেলেন । জীবানন্দ আর প্রতিবাদ করিল না , এককড়ি কহিল, তা হলে একটু বেলাবেলি যাত্রা করবার ব্যবস্থা করি গে হজুর ? ই, তাই কর, বলিয়া জীবানন্দ পাশ ফিরিয়া দেওয়ালের দিকে মুখ করিয়৷ গুইল । এককড়ি কলিকাতা-যাত্রার বিস্তর খুঁটিনাটি আলোচনা করিতে লাগিল, কিন্তু প্রভুর নিকট হইতে কোন কথারই প্রত্যুত্তর আসিল না। কথাগুলা তাহার কানেই গেল কি-না, তাহাও বুঝা গেল না । A জমিদারের বিলাস-কুঞ্জ হইতে ষোড়শী যখন নি:শব্দে সরিয়া গেল, তখন বেলা বোধ হয় ন’টা-দশটা। এমনি করিয়া চলিয়া আসাটা তাহার বিশ্ৰী ঠেকিতে লাগিল, কিন্তু তখনই মনে হইল, বলিয়া কহিয়া বিদায় লইয়া আসাটা আরও অশোভন, আরও বাড়াবাড়ি হইত। কিন্তু গেটের বাইরে আসিয়া দেগিল, আর এক পদও অগ্রসর হওয়া চলে না । এবার নাবী বর্ধায় কৃষকদের ধান্য-রোপণের কাজ-কৰ্ম্ম wo