পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐকাত্ত মোহনার মত হইয়াছে এবং সব কয়টাকেই বুনো ঝাউগাছে একটা হইতে আর একটাকে আড়াল করিয়া রাখিয়াছে। একটার ভিতর দিয়া খানিকট বাহিয়। গিয়াই আমরা খালের মধ্যে পড়িলাম। জেলেদের নৌকাগুলো তখন অনেকট। দূরে কালে কালো ঝোপের মত দেখাইতেছে। আরও খানিকট অগ্রসর হইয়া গন্তব্য স্থানে পৌঁছান গেল । ধীবর প্রভুরা খালের সিংহদ্বার আগুলিয়া আছে মনে করিয়া এ স্থানটায় পাহারা রাখে নাই। ইহাকে মায়াজাল বলে । খালে যখন জল থাকে না তখন এধার হইতে ওধার পর্যন্ত উচু উচু কাঠি শক্ত করিয়া পৃতিৱা দিয়া তাহারই বহির্দিকে জাল টtঙাইয়। রাখে। পরে বর্ষার জলস্রোতে বড় বড় রুই বাংলা ভাসিয়া আসিয়া এই কাঠিতে বাধা পাইয়া লাফাইয়া ওদিকে পড়িতে চায় এবং দড়ির জালে আবদ্ধ হইয়া ५i८क । দশ, পনর, বিশ সের রুই-কাতলা গোটা পাঁচ-ছয় ইন্দ্র চক্ষের নিমেষে নৌকায় তুলিয়া ফেলিল। সেই বিরাটকায় মৎসরাজেরা তখন পুচ্ছতাড়নায় ক্ষুদ্র ডিঙিখানা যেন চূৰ্ণবিচূর্ণ করিয়া দিবার উপক্ৰম করিতে লাগিল, এবং তাহার শব্দও বড় কম হইল नl । এত মাছ কি হবে ভাই ? কাজ আছে। আর না, পালাই চল। বলিয়া সে জাল ছাড়িয়া দিল । আর দাড় টানিবার প্রয়োজন নাই। আমি চুপ করিয়া বসিয়া রছিলাম। এখন তেমনি গোপনে আবার সেই পথেই বাহির হইতে হইবে। অমুকুল স্রোতে মিনিট দুই-তিন ধরবেগে ভাটাইয়া আসিয়া হঠাৎ একস্থানে একটা দমূকা মারিয়া যেন আমাদের এই ক্ষুদ্র ডিঙিটা পাশের ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে গিয়া প্রবেশ করিল । তাহার এই আকস্মিক গতিপরিবর্তনে আমি চকিত হুইয়া প্রশ্ন করিলাম, কি ? কি হ’ল ? ইন্দ্র আর একটা ঠেলা দিয়া নৌকাখানা আরও খানিকটা ভিতরে পাঠাইয়া দিয়া কহিল, চুপ! শালারা টের পেয়েছে—চারধান ডিঙি খুলে দিয়েই এদিকে আলচে —ঐ দ্যখি ! তাই ত বটে। প্রবল জল-তাড়নায় ছপাছপ করিয়া চারথামা নৌকা আমাদের গিলিয়া ফেলিবার জন্য যেন কৃষ্ণকায় দৈত্যের মত ছটিয়া আসিতেছে। ওদিকে জাল দিয়া বন্ধ, সুমুখে ইহারা। পলাইয়া নিস্কৃতি পাইবার এতটুকু স্থান নাই। এই ভুট্টা-ক্ষেতের মধ্যেই ষে আত্মগোপন করা চলিবে, তাহাও সম্ভব মনে হইল না। কি হবে ভাই ? বলিতে বলিতেই আম্য ৰাম্পোচ্ছাসে আমার কণ্ঠনালী রুদ্ধ 為 t