পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ হইলেও ধাপ্ত নয় । তাহারা স্পষ্ট করিয়া প্রতি বাড়িতেই বলিয়া দিয়াছেন যে, ইহাতে উাহাদের কোনই হাত নাই ; কারণ জীবিত থাকিতে র্তাহারা অশাস্ত্রীয় কাজ সমাজের মধ্যে কিছুতেই ঘটিতে দিতে পারিবেন না । আমরা অনন্তোপায় হইয়া ভাক্তারবাবুর শরণাপন্ন হইলাম। তিনিই তখন সহরের সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক এবং বিনা দক্ষিণায় বাঙালীর বাটীতে চিকিৎসা করিতেন । আমাদের কাহিনী গুনিয়া ভাক্তারবাবু ক্রোধে জলিয়া উঠিয়া প্রকাশ করিলেন, র্যাহার এইরূপ নির্ধ্যাতন করিতেছেন তাহাদের বাটীর কেহ চোখের সম্মুখে বিনা চিকিৎসার মরিয়া গেলেও তিনি সেদিকে আর চাহিয়া দেখিবেন না ! কে এই কথা তাহাদের গোচর করিল, জানি না। দিবা অবসান না হইতেই শুনিলাম, কেশচ্ছেদের আবশ্যকতা নাই, শুধু 'ঘাট’ মানিয়া সেই সুপবিত্র পদার্থটা ভক্ষণ করিলেই হইবে। আমরা স্বীকার না করায় পরদিন প্রাতঃকালে গুনিলাম, ঘাট’ মানিলেই হুইবে –ওটা না হয় নাই খাইলাম । ইহাও অস্বীকার করায় শোনা গেল, আমাদের এই প্রথম অপরাধ বলিয়া তাহার এমনিই মার্জনা করিয়াছেন -প্রায়শ্চিত্ত করিবার আবশ্বকতা নাই । কিন্তু ডাক্তারবাবু কছিলেন, প্রায়শ্চিত্তের আবিস্তকতা নাই বটে, কিন্তু তাহার ষে এই দু’টা দিন ইহাদিগকে ক্লেশ দিয়াছেন সেইজন্য যদি প্রত্যেকে আগিয়া ক্ষম প্রার্থনা করিয়া ন যান, তাহ হইলে তাহার যে কথা সেই কাজ ; অর্থাৎ কাহারও বাটতে যাইবেন না। তারপর সেই সন্ধ্যাবেলাতেই ডাক্তারবাবুর বাটতে একে একে বৃদ্ধ সমাজপতিদিশের শুভাগমন হইয়াছিল। আশীৰ্ব্বাদ করিয়া তাহারা কি কি বলিয়াছিলেন, তাহা অবশ্য শুনিতে পাই নাই ; কিন্তু পরদিন ডাক্তারবাবুর আর ক্রোধ ছিল না, আমাদিগকে ত প্রায়শ্চিত্ত করিতে হয়ই নাই । যাক, কি কথায় কি আসিয়া পড়িল । কিন্তু সে যাই হউক, আমি নিশ্চয় জানি— যাহারা জানেন র্তাহার এই নাথধামহীন বিবরণটির মধ্যে সমস্ত সত্যটিই উপলব্ধি করিবেন। আমার বলিবার মূল বিষয়টি এই যে, ইন্দ্র ঐ বয়সে নিজের অস্তরের মধ্যে যে সঙ্যটির সাক্ষাৎ পাইয়াছিল, অত বড় বড় সমাজপতিরা অতটা প্রাচীন বয়স পর্য্যস্ত তাহার কোন তত্ত্বই পান নাই ; এবং ডাক্তারবার সেদিন অমন করিয়া তাহাদের শাস্ত্রজ্ঞানের চিকিৎসা না করিয়া দিলে, কোনদিন এ ব্যাধি র্তাহীদের আরোগ্য হইত কি না তাহা জগদীশ্বরই জানেন। চড়ার উপর আসিয়া অৰ্দ্ধমগ্ন বনঝাউয়ের অন্ধকারের মধ্যে জলের উপর সেই অপরিচিত শিশুদেহটিকে ইঞ্জ যখন অপূৰ্ব্ব মমতার সহিত রাখিয়া দিল তখন রাত্রি জার বড় বাকী নাই। কিছুক্ষণ ধরিয়া সে সেই শবের পানে মাথা ঝু কাইয়া ৰাকিস্থা অবশেষে যখন মূধ তুলিয়া চাহিল অফুট চঞ্জালোকে তাহার মুখের Ար