পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ উপর দিয়া, এবং বসত-বাটীর ভার ব্রজকিশোরের উপর দিয়া অতি সামান্তভাবেই সে বিদেশ-যাত্রা করিল। যাইবার সময় একজন ভৃত্যকেও সঙ্গে লইল না। ব্রজকিশোরকে নিভৃতে ডাকিয় তাহার স্ত্রী হরকালী বলিল, একটা কাজ করলে नां ? ব্রজকিশোর জিজ্ঞাসা করিলেন, কি কাজ ? এই যে বিদেশে গেল, একটা কিছু লিখে নিলে না কেন ? মামুষের কখন কি হয়. কিছু বলা যায় না। যদি বিদেশে ভাল-মন্দ হঠাৎ কিছু হয়ে যায়, তখন তুমি দাড়াবে কোথায় ? খ্রজকিশোর কানে আঙ্গুল দিয়া জিভ কাটিয়া কহিলেন, ছি, ছি, এমন কথা মুখে ५ींन{ न ! হরকালী রাগ করিল। কহিল, তুমি বোকা, তাই মুখে আনতে হয়েছে, যদি সেয়ান হ’তে, আমাকে মুখে আনতে হ’ত না । কিন্তু কথাটা যে ঠিক, তাহ ব্রজকিশোর স্ত্রীর কৃপায় দুই-চারি দিনেই বুঝিতে পারিলেন। তখন পরিতাপ করিতে লাগিলেন। এক বৎসর চন্দ্রনাথ নানা স্থানে এক এক ভ্রমণ করিয়া বেড়াইল । তাহার পর গয়ায় আসিয়া স্বৰ্গীয় পিতৃদেবের সাংবাৎসরিক পিণ্ডদান করিল, কিন্তু তাহার বাটী ফিরিয়া যাইবার ইচ্ছা হইল ন—মনে করিল, কিছুদিন কাশীতে অতিবাহিত করিখ যাহা হয় করিবে। কাশীতে মুখোপাধ্যায় বংশের পাণ্ড হরিদয়াল ঘোষাল। চন্দ্রনাথ একদিন দ্বিপ্রহরে একটি ক্যাম্বিশের ব্যাগ হাতে লইয়া তাহার বাটীতে মাসিয়া উপস্থিত হইল। কাশী চন্দ্রনাথের অপরিচিত নহে, ইতিপূৰ্ব্বে কয়েকবার সে পিতার সহিত এখানে আসিন্ধাছিল। হরিদয়ালও তাহাকে বিলক্ষণ চিনিতেন। অকস্মাৎ তাহার এরূপ আগমনে তিনি কিছু বিস্মিত হইলেন। উপরের একটা ঘর চন্দ্রনাথের জন্য নির্দিষ্ট হইল, এবং ইহাও স্থির হইল যে, চন্দ্রনাথের যতদিন ইচ্ছা তিনি এখানেই থাকিবেন । এ কক্ষের একটা জানাল দিয়া ভিতরে রন্ধনশালার কিয়দংশ দেখা যাইত। চন্দ্রনাথ আগ্রহের সহিত অনেক সময় এইদিকে চাহিয়া থাকিত। রন্ধন-সামগ্রীর উপরেই ষে আগ্রহ তাহা নহে, তবে রন্ধন-কারিণীকে দেখিতে বড় ভাল লাগিত । বিধবা মুম্বী। কিন্তু মুখখানি যেন দুঃখের আগুনে দগ্ধ হইয়া গেছে। যৌবন আছে কি গিয়াছে, সেও যেন আর চক্ষে পড়িতে চাহে না । তিনি আপল মনে অীপদার কাজ করিয়া যান, নিকটে কেবল দশমবধীয়া বালিকা রন্ধনের যোগাড় দিতে খাকে । চন্দ্রনাথ অস্তৃর্থনয়নে তাহাই দেখে ! 温 శ్రీ గా