পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐকাপ্ত কেন, কি করবে ও ? না না, এখন আর পড়তে হবে না। আগে যা হোক দুটো মুখে দিয়ে একটু ঘুমোক । আয় আমার সঙ্গে, বলিয়া পিসীমা আমাকে লইয়া চলিবার উপক্রম করিলেন । কিন্তু শিকার যে হাতছাড়া হয় । মেজদা স্থান-কাল ভুলিয়া প্রায় চীৎকার করিয়া আমাকে ধমক দিয়া উঠিলেন—খবরদার । যাস্নে বলচি শ্ৰীকান্ত । পিসীমা পর্যস্ত যেন একটু চমকিয়া উঠিলেন। তারপরে মুখ ফিরাইয়া মেজদার প্রতি চাহিয়া শুধু কহিলেন, সতে! পিসীমা অত্যস্ত রাশভারী লোক । বাড়ি-মুদ্ধ সবাই তাহাকে ভয় করিত। মেজদা সে চাহণীর সম্মুখে ভয়ে একেবারে জড়সড় হুইয়। উঠিল । আবার পাশের ঘরেই বড়দা বসেন। কথাটা তার কানে গেলে আর রক্ষা থাকিত না । পিসীমার একটা স্বভাব আমরা চিরদিন লক্ষ্য করিয়া আসিয়াছি ; কখনও, কোন কারণেই, তিনি চেঁচামেচি করিয়া লোক জড় করিয়া তুলিতে ভালবাসিতেন না। হাজার রাগ হইলেও তিনি জোরে কথা বলিতেন না। তিনি কহিলেন, তাই বুঝি ও দাড়িয়ে এখানে ? দেখ, সতীশ, যখন তখন শুনি, তুই ছেলেদের মারধোর করিসূ । আজ থেকে কারে গায়ে যদি তুই হাত দ্বিস্ আমি জানতে পারি, এই থামে বেঁধে চাকর দিয়ে তোকে আমি বেত দেওয়াব ! বেহায়া, নিজে ফি বছর ফেল হচ্চে— ও আবার যায় পবৃকে শাসন করতে ! কেউ পড়ুক, আর না পভুক, কারুকে তুই জিজ্ঞেস পৰ্য্যস্ত করতে পাবিনে—বলিয়। তিনি আমাকে লইয়া ষে পথে প্রবেশ করিয়াছিলেন, সেই পথে বাহির হইয়া গেলেন । মেজদা মুখ কালি করিয়া বসিয়া রহিল । এ আদেশ অবহেলা করিবার সাধ্য বাড়িতে কাহারো নাই—সে কথা মেজদ ভাল করিয়াই জানিত । আমাকে সঙ্গে করিয়া পিসীমা তার নিজের ধরের মধ্যে জানিয়া কাপড় ছাড়াহঁয়া দিলেন এবং পেট ভরিয়া গরম গরম জিলাপি আহার করাইয়া বিছানায় শোয়াইয়া দিয়া—আমি মরিলেই তার হাড় জুড়ায়—এই কথা জানাইয়া দিয়া বাহির হইভে শিকল বন্ধ করিয়া চলিয়া গেলেন । মিনিট-পাচেক পরেই খুটু করিয়া সাবধানে শিকল খুলিয়া ছোড়দা হাপাইতে হাপাইতে আসিয়া আমার বিছানার উপর উপুড় হইয়া পড়িল । আমদের আতিশধ্যে প্রথমটা সে কথা কহিতেই পারিল না। একটুখানি জয় লইয়া ফিস্ ফিসূ করিয়া কছিল, মেজদাকে মা কি ছকুম দিয়েচে জানিস? আমাদের কোন কৰায় তার থাকবার জোঁ-টি নেই। তুই, আমি, যতে একঘরে পড়ব—মেজ। অন্ত ঘরে পড়বে। আমাদের পুরানো পড়া বড়দা দেখবেন । ওকে আমরা আর מפי