পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰন্থ কথাটা কিন্তু সরকার মহাশয় প্রথমে তেমন বুঝিল না। কিন্তু মনে মনে যত হিসাব করিল, তত বোধ হইতে লাগিল, হরকালীর কথাটাই সত্য । যাহাকে বাড়ি হইতে বাহির করা হইয়াছে, তাহাকে কি কেহ ইচ্ছাপূৰ্ব্বক অত টাকা দেয় । ভাবিয়া-চিন্তিয়া স বলিল, তা আপনি যা বলেন। বলব আর কি ? এই সামান্ত কথাটা আর বুঝলেন না ? সরকার মহাশয় অপ্রতিভ হইয়া বলিল, তাই হবে। হ্যা, তাই। আপনি কিন্তু পাচ টাকা হিসাবে পাঠাবেন । চন্দ্র না দেয়, আমার হিসেব থেকে পাচ টাকা পাঠাবেন । হরকালী মাসিক পঞ্চাশ টাকা করিয়া নিজের হিসাবে হাত-খরচা পাইতেন। সরকার মহাশয় প্রস্থান করিবার সময় বলিল, তাই পাঠাব। চন্দ্রনাথ বাড়ি নাই। এলাহাবাদে গিয়াছে। সরকার মহাশয় তাহাকে পত্র লিথিয়া মতামত জানিবার ইচ্ছা করিল, কিন্তু পরে মনে হইল, এরূপ অসম্ভব কথা লইয়। অনর্থক তোলাপাড়া করিয়া নিজের বুদ্ধিহীনতার পরিচয় দিয়া লাভ নাই । চতুর্দশ পরিচ্ছেদ উপরিউক্ত ঘটনার পর দুই বৎসর অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে । এই দুই বৎসরে আর কোন পরিবর্তন হউক বা না হউক, কৈলাসথুড়ার জীবনে বড় পরিবর্তন ঘটিয়াছে। যেদিন তাহার কমলা চলিয়া গিয়াছিল, যেদিন তাহার কমলচরণ সর্বশেষ নিশ্বাসটি ত্যাগ করিয়া ইহ-জীবনের মত চক্ষু মুদিয়াছিল, সেই দিন হইতে বিপুল বিশ্বও কৈলাসচক্সের পক্ষে চক্ষু মুদিয়াছিল ; কিন্তু সরযুর ওই ক্ষুদ্র শিশুটি তাহাকে পুনৰ্ব্বার সেই বিশ্বত-সংসারের স্নেহময় জটিল-পথে ফি ইয়া আনিয়াছে। সেদিন তাহার ক্ষুদ্র চক্ষু দু'টি বহুদিন পরে আর একবার জলে ভরিয়া গিয়াছিল, চক্ষু মুছিয়া বলিয়াছিলেন, আমার ঘরে বিশ্বেশ্বর এসেছেন। তখনও সে ছোট ছিল ; ‘বিশু বলিয়া ডাকিলে উত্তর দিতে পারিত না, শুধু চাহিয়া থাকিত। তখন সে সরযুর ক্রোড়ে, লখীয়ার মার ক্রোড়ে এবং বিছানার শুই থাকিস্ত। কিন্তু যেদিন হইতে সে তাহার চঞ্চল পাছটি চৌকাঠের বাহিৰে লইখা যাইতে শিখিয়াছে, সেদিন হইতে সে বুঝিয়াছে, দুধের চেয়ে জল ভাল এবং ধিীশূঙ্গ হইবা পরিষ্কার অপরিষ্কার সৰ্ব্ববিধ জলপাত্রেই মুখ ডুবাইয়া সৱমুকে وفي عياe\