পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপ্রদাস বন্দন তাহার দিকে চাহিল, কিন্তু জবাব দিল মাসকে, বলিল, আমি না গেলে প্রকৃতির বিয়ে আটকাবে না, কিন্তু গেলে মুখুয্যেমশায়ের সেবার ক্রটি হবে। ওঁকে দেখবার কেউ নেই। কিন্তু উনি ত ভাল হয়ে গেছেন। তোমাকে যেতে বলা ওঁর উচিত । এই বলিয়া মাসী বিপ্রদাসের দিকে চাহিলেন । বিগ্রাস হাসিয়া কহিল, ঠিক কথা। আমার যেতে বলাও উচিত, বন্দনার যাওয়াও উচিত। বরঞ্চ না গেলেই অন্যায় হবে । বন্দন মাথা নাড়িয়া কহিল, না—অন্যায় হবে অামি মনে করিনে। বেশ, আপনি বলেচেন যেতে আমি যাবে, কিন্তু রাত্রেই চলে আসবে, সেখানে থাকতে পারবো না । এ অমুমতি মাসীমাকে দিতে হবে । একটা রাত ও থাকতে পারবে না ? ন! | আচ্ছা তাই হবে, বলিয়া মাসী মনে মনে রাগ করিয়া দলবল লইয়া প্রস্থান করিলেন । বিপ্রদাস বলিল, দেখলে তো তোমার মা সীমা রাগ করে চলে গেলেন ; কিন্তু হঠাৎ এ খেয়াল হ’লে কেন ? বন্দন বলিল, রাগ করে গেলেন জানি, কিন্তু শুধু খেয়ালের বশেই যেতে চাইচিনে তা নয়। ওদের যা-কিছু সমস্তর উপরেই আমার বিতৃষ্ণা ধরে গেছে। তাই ওখানে আর যেতে চাইনে মুখুয্যেমশাই। " এটা একটু বাড়াবাড়ি বন্দন । সভ্যই বাড়াবাড়ি কিনা বলা শক্ত। আমি সৰ্ব্বদাই নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা করি, অথচ বেশ বুঝতে পারি ওদের মধ্যে গিয়ে আমার না থাকে মুখ, না থাকে স্বস্তি। একবার বোম্বায়ে একটা কাপড়ের কলের কারখানা দেখতে গিয়েছিলুম, কেবলি আমার সেই কথা মনে হতে থাকে- তার কত কল কত চাকা আশে পাশে সামনে পিছনে অবিশ্রাম ঘুরচে—একটু অসাবধান হলেই যেন ঘাড়-মুখ গুজড়ে তার মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে ফেলবে । ওসব দেখতে যে ভাল লাগে তা নয়, তবু মনে হয় বেরুতে পারলে র্বাচি ; কিন্তু আর দেরি করবে না, আপনার খাবার জানিগে, বলিয়া বাহির হইতে গিয়াই চোখে পড়িল স্বারের সম্মুখে পায়ের ধূলা, জুতোর দাগ থমকিয়া দাড়াইয়া বলিল, খাবার আনা হ’ল না মুখুয্যেমশাই, একটু সবুর করতে হবে। চাকর দিয়ে এগুলো আগে ধুইয়ে ফেলি, এই বলিয়া সে ঘর হইতে বাহির হইতেছিল, বিপ্রদাস সবিস্ময়ে প্রশ্ন করল, এত খুটিনাটি তুমি শিখলে কার কাছে বন্দন ? רק كالاســؤيه