পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপ্রদাস কিন্তু সে খবর আত্মীয় স্বজন জানবে কি করে! জানেন শুধু তিনি আর তার ঐ অন্তৰ্বামী । বন্দনা কৌতুহলী হইয়া প্রশ্ন করিল, আচ্ছা দ্বিন্ধুবাবু, আপনার কি মনে হয় মুখুয্যেমশাই কাউকে কোনদিন ভালবাসেননি ? কোন মানুষকেই না? দ্বিজদাস বলিল, না, সে র্তার প্রকৃতিবিরুদ্ধ। মানুষের সংসারে এত বড় নিঃসঙ্গ একলা মানুষ আর নেই। তার পরে বস্তৃক্ষণ অবধি উভয়েই নীরব হইয়া রহিল। বনানা জোর করিয়া একটা ভাৱ যেন ঝাড়িয়া ফেলিয়া দিল, বলিল, তা হোকগে দ্বিন্ধুবাবু। তার সমস্ত কাজ আপনাকে তুলে নিতে হবে,—একটিও ফেলতে *ाँध्नtदम माँ । কিন্তু আমি তো দাদা নই, একলা পারবো কেন বন্দন ? একলা তো নয় দু'জনে নেবেন। তাই ত বলেচি আপনাকে বিয়ে করতে হবে । কিন্তু ভালো না বাসলে আমি বিয়ে করবো কি করে ? বন্দন আশ্চর্ঘ্য হইয় তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া কহিল, এ কি বলচেন দ্বিজুবাৰু। এ-কথা ত আমাদের সমাজে শুধু আমরাই বলে থাকি। কিন্তু আপনাদের পরিবারে কে কৰে ভালোবেসে বিয়ে করেচে যে আপনার না হলে নয় ? এ ছলনা ছেড়ে দিন । দ্বিজদাস বলিল, এ বিধি আমাদের বাড়ির নয় বটে, কিন্তু সেই নজিরই কি চিরদিন মানতে হবে ? তাতেই মুখী হবে এ বিশ্বাস আর নেই। . বন্দন বলিল, বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তর্ক চলে না, মুখের জামিন নিতেও পারবে না, কারণ সে ধন যার হাতে র্তার ঠিকানা জানিনে। অদ্ভুত তার বিচারপদ্ধতি,-তত্ত্বঅন্বেষণ বৃথা। কিন্তু বিয়ের আগে নয়ন-মন-রঞ্জন পূৰ্ব্বরাগের খেলা খেললুম অনেক, আবার একদিন সে অনুরাগ দৌড় দিলে যে কোন গহনে সে প্রহসনও দেখতে পেলুম অনেক। আমি বলি ও ফঁাদে পা দিয়ে কাজ নেই দ্বিজুবাবু, সোনার মায়া-যুগ যে-বনে চরে বেড়াচ্চে বেড়াক, এ-বাড়িতে সমাদরে আহবান করে এনে কাজ নেই। দ্বিজদাস মৃদ্ধ হাসিন্ধা কহিল, তার মানে স্বধীরবাবু দিয়েচেন আপনার মন छष्ट्रांनक विश्रृंtप्ल । বন্দনাও হাসিয়া বলিল, ই । কিন্তু মনের তখনও যেটুকু বাকী ছিল বিগড়ে দিলেন আপনি, আবার তার পরে এলেন অশোক। এখন পোড়া অদৃষ্টি উনি টিকে থাকলে বাচি । উনি কে ? অশোক ? ওঁকে আপনার ভয়টা কিসের ? ভম্বটা এই যে তিনিও হঠাৎ ভালোবাসতে শুরু করেচেন। কেউ ভালবাসার ধার দিয়েও যাবে না এই বুঝি আপনার সঙ্কল্প ?

  • 着幕