পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রম{ তখদে৷ ত যতীন জন্মায়নি, ভেবেছিলো যদু মুখুয্যের সমস্ত বিষয়টা তা হলে মুঠোর মধ্যে আসবে। বুঝলে না বাবা বেশী ! বেণী । বুঝি বই কি মাসী, সব বুঝি। মালী। বুঝবে বই কি বাবা, এ ত পড়েই রয়েছে। আর তা যখন হ’ল না তখন ঐ ভৈরব আচাধিকে দিয়ে কি জপ-তপ, তুক-তাক করিয়ে মায়ের কপালে আমার এমনি আগুন জেলে দিলে যে, ছ’মাস পেরুল না বাছার হাতের নোয়া মাথার সি দুর ঘুচে গেল। ছোট জাত হয়ে চায় কি না যদু মুখুয্যের মেয়েকে বেী করতে। তেমনি হারামজাদার মরণও হয়েচে ! সদরে গেল মকৰ্দমা করতে আর ঘরে ফিরতে হ’ল না। এক ব্যাটা, তার হাতের আগুনটুকু পৰ্য্যস্ত পেলে না। ছোট জাতের মুখে আগুন ! রম। কেন মাসী, তুমি লোকের জাত তুলে কথা কও ? তারিণী ঘোষাল বড়দারই ত আপনার খুড়ে । বামুন মানুষকে ছোট জাত বল কি করে ? তোমার মুখে যেন কিছু বাধে না । • বেণী । ( সলজ্জে ) না রম, মাসী সত্যি কথাই বলেচেন । তুমি বড় কুলীনের যেয়ে, তোমাকে কি আমরা ঘরে আনতে পারি বোন ? ছোটখুড়োর এ-কথা মুখে আনাই বেয়াদপি । আর তুক-তাকের কথা যদি বল ত সে সত্যি। দুনিয়ায় ছোটখুড়ে আর ভৈরবের অসাধ্য কাজ কিছু নেই। রমেশ আসতে না আসতেই ঐ ব্যাটাই ত জুটে গিয়ে হয়েচে তার মুকলি । l মাসী । সে ত জানা কথা বেণী । ছোড়া বছর দশ-বারে ত দেশে আসেনি ; —সেই যে মামারা এসে কাশী না কোথায় নিয়ে গেল আর কখনো এ-মুখো হতে দিলে না। এতকাল ছিল কোথায় ? করছিল কি ? বেণী । কি করে জানবো মাসী। ছোটখুড়োর সঙ্গে তোমাদেরও যে ভাব আমাদেরও তাই। শুনচি, এতদিন বোম্বাই না কোথায় ছিল। কেউ বলচে ডাক্তারি পাস করেচে, কেউ বলচে উকিল হয়েচে,—আবার কেউ বলচে সব ফাকি । ছোড়া নাকি পাড় মাতাল । যখন বাড়ি এসে পোছল, তখন চোখ দুটো ছিল নাকি জবাফুলের মত রাঙা । মালী। বটে। তা হলে ত তাকে বাড়ি ঢুকতে দেয়াই যায় না। বেণী। কিছুতে না । ই রমা, তোমার রমেশকে মনে পড়ে ? স্বমা ! ( সলজে মৃদু হাসিয়া ) এ ত সেদিনের কথা বড়দা । তিনি আমার চেয়ে বছর-চারেকের বড়। এক পাঠশালায় পড়েচি, একসঙ্গে খেলা করেচি, ওঁদের বাড়িতেই ত থাকতাম। খুড়িমা জামাকে মেয়ের মত ভালবাসতেন। মাসী। তার ভালবাসার মুখে আগুন । ভালবাসা ছিল কেবল কাজ হাসিল ֆեծ