পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ ছাড়া মামলা-মোকদমা, মিথ্যে সাক্ষী দেওয়া নিয়েও মস্ত দলাদলি । আমি যদি তোর এখানে দু’দিন আগে আসতাম রমেশ, এত উদ্যোগ-আয়োজন কিছুই করতে দিতাম না। কি যে সেদিন হবে আমি তাই শুধু ভাবচি। । [ এই বলিয়া তিনি নিশ্বাস মোচন করিলেন ] রমেশ । তোমার দীর্ঘশ্বাসের মৰ্ম্ম বোঝা কঠিন জ্যাঠাইমা, কিন্তু আমার সঙ্গে ত এর কোন যোগ নেই। আমাকে বিদেশী বললেই হয়,—কারে সঙ্গে শত্রুতাও নেই, দলাদলিও নেই,—আমি কাউকে অপমান করতে পারব না, সকলকেই সসম্ভ্রমে আহবান করে আনব । জ্যাঠাইমা । উচিত ত তাই। কিন্তু—যাই হোক, সকলের মত নিয়ে এ কাজটা করিসূ বাবা, নইলে ভারি গণ্ডগোল হবে । মা বিপদ-তারিণী। রমেশ । তুমি কি এখখুনি চলে যাচ্ছ ? জ্যাঠাইমা । না এখ, খুনি নয় ! দু’একটা কাজ পড়ে আছে সেগুলো সেরে ফেলেই যাবো । কিন্তু চাবি আমার সঙ্গে রইলো রমেশ, কাল সকালেই আমি নিজে এসে ভাড়ার খুলব । [ প্রস্থান ] ধৰ্ম্মদাস, গোবিন্দ ও পরাণ হালদারের প্রবেশ ) গোবিন্দ । ( রমেশের প্রতি ) বাবা, এই পরাণ মামাকে ধরে নিযে এলাম। আসতে কি চায় ! কিন্তু আমিও ছাড়নে-বাল নই! বলি বেণীই জমিদার আর, আমার ভাগ নে রমেশ নয় ? (উপরের দিকে মুখ তুলিয়া) তারিণীদা, স্বর্গে বসে সমস্তই দেখচো শুনচো, কিন্তু এই তোমার কাছে প্রতিজ্ঞে করচি আমি, এই উঠোনের ওপর বেণীর যদি না এমনি করে নাক বুগড়াতে পারি ত আমার নামই গোবিন্দ গাঙলী নয়। ধৰ্ম্মদাস। আহা, তুই খাম না গোবিন্দ। (কাশিতে কাশিতে ) সে আমি ঠিক করে নেব । ( অকস্মাং বেণী ঘোষাল প্রবেশ করিল ) বেণী । এই যে রমেশ, একবার এলাম--বড় জরুরি কাজ-মা এসেছেন নাকি ? গোবিন্দ । আসবে বই কি বাবা, একশ’বার আসবে। এ ত তোমারই বাড়ি । তাই ত আমি রমেশ বাবাজীকে সকাল থেকে বলচি, রমেশ ঝগড়া-বিবাদ তারিণীদার সঙ্গেই যাক্-আর কেন ? তোমরা দু’ভাই এক হও, আমরা দেখে চোখ জুড়োই ! তা ছাড় বড়গিল্পী ঠাকরুণ যখন স্বয়ং এসে উপস্থিত হয়েছেন, তখন— বেণী । মা এসেচেন ? 鞭 - ●●●