পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰই রমেশ । কেবল আমার জন্যই তোমাদের যাওয়া হোল না । রমা। আপনার জন্তে নয়, আপনার অমুখের জন্যে। মুখ দেখে বেশ বোঝা যাচ্চে, হয়ত জর হবে । এ অবস্থায় ফেলেই বা যাই কি করে ? রমেশ । আমি ত তোমার কেউ নই রমা, বরঞ্চ পথের কাটা । তবু এক গ্রামের লোক বলে যে যত্ব আজ তোমার কাছে পেলাম তা মুথে বলবার নয়। রমা। তা হলে না-ই বা বললেন। আর দু'দিন বাদে ভুলে গেলেও অভিযোগ করব না । [এই বলিয়া সে চলিয়া যাইতে উদ্যত হইল ] রমেশ । তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করি রুমা, তুমি মুখী হও, দীর্ঘজীবী হও— রম । ( সহসা ফিরিয়া দাড়াইয়া ) এইবার কিন্তু সত্যিই রাগ করব রমেশদ । আমি হিন্দুর বিধবা,-আমাকে দীর্ঘজীবী হতে বলা শুধু অভিশাপ দেওয়া । আমাদের কোন শুভাকাঙ্ক্ষীই কোনদিন এ আশীৰ্ব্বাদ আমাদের করে না । এখন আমি চললাম । [ দ্রুতপলে প্রস্থান ] छृष्ठौग्न चि [ গ্রাম্য পথ। সময় অপরাহ্ল । তিন দিন উপযুপিরি ও অবিশ্রাম বারিপাতে পুষ্করিণী-খাল-বিল-নালা সমস্তই জলে পরিপূর্ণ হইয়া গেছে, পথ অতিশয় কর্দমাক্ত । ক্ষণকাল মাত্র বৃষ্টির বিরাম পড়িয়াছে। লাঠি ও ছাতি হাতে বেণী ও গোবিন্দ প্রবেশ করিল। দুর্গম পথের চিহ্ন তাহাদের সর্বাঙ্গে বিদ্যমান ] গোবিন্দ। ( অস্তরাল হইতে উচ্চকণ্ঠ ) বলি, কিসের এত খাতির হে ? কুটুমের দল এসেচেন আবদার নিয়ে বাধ কাটিয়ে জল নিকেশ করে দাও, মাঠ হেজে যাবে ! গেল, গেলই ! ছোটলোক ব্যাটাদের আস্পর্ধার কথা শুনে হাসব কি ক্টাদব ভেবে পাইনে বড়বাবু। বেশী। বল ত খুড়ো ! চাষা ব্যাটাদের একশ বিঘের মাঠ হেজে যাবে, জল বার করে দাও । স্বমুখের বিলটার যে বছর সালিয়ানা দুশো টাকার জলকর বিলি হয় । একটা মাছও কি তা হলে থাকবে ? গোবিনা। তাও কি কখনো থাকে ? ছোটলোক ব্যাটার, ছুটে টাকার মুখ কখনো একসঙ্গে দেখিস্নে তোরা,—জানিস্, দু-দুশো টাকার লোকসান কাকে বলে ? বলি, লোক-জন সব মোতায়েন রেখেছ ত? লুকিয়ে-চুরিয়ে ব্যাটার কোথাও কেটেফুটে দেবে না ত ? বলা যায় না বড়বাবু। প্রাণের দায়ে শালার সব পারে। Ros