পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१भाँ { বেণী ও গোবিন্দের প্রবেশ ] বেণী । না, আমার মত নেই। কেন থাকবে ? দু-তিনশো টাকার মাই বেরিয়ে যাবে সে খবরটা রেথেচ কি ? এ টাকাটা কি চাষার দেবে ? রমেশ চাষার গরীব, টাকা তার কোথায় পাবে ? কথাটা একবার বুঝে দেখুন বড়দা । বেণী । তা দেখচি । কিন্তু না-হোক এত টাকা আমরাই বা কেন লোকসান করতে যাব এ-কথাটাও ত বুঝে উঠতে পারিনে রমেশ । ( গোবিন্দর প্রতি) খুড়ে, এমনি করে ভায়া আমার জমিদারী রাখবেন ] ওহে রমেশ, হারামজাদারা সকাল থেকে এতক্ষণ আমার ওখানে পড়েই মড়া-কান্না কাদছিল,--আমি জানি সব । বলি, তোমার সদরে কি দরওয়ান নেই ? তার পায়ে নাগরা জুতো নেই? যাও ঘরে গিয়ে সেই ব্যবস্থা করগে, জল আপনি নিকেশ হয়ে যাবে। [এই বলিয়া নিজের রসিকতায় গোবিন্দর সহিত একযোগে হি: হি: হাঃ হাঃ—করিয়া হাসিতে হাগিল ] রমেশ । কিন্তু ভেবে দেখুন বড়দা, আমাদের তিন ঘরের দু’শো টাকা মাত্র লোকসান বাচাতে গিয়ে গরীবদের সারা বছরের অল্প মারা যাবে । যেমন কোরে হোক তাদের পাঁচ-সাত হাজার টাকা ক্ষতি হবেই। বেণী । হ’ল হ’লই । তাদের পাঁচ হাজারই যাক আর পঞ্চাশ হাজারই যাক, এই গোটা সদরটা খুঁড়ে ফেললেও ও পাঁচটা পয়সা বার হবে না ভায়া, যে, ও-শালাদের জন্যে দু-দুশ টাকা উড়িয়ে দিতে হবে ? রমেশ । এরা সারা বছর খাবে কি ? বেণী । ( হাসিয়া, মাথা নাড়িয়া, থুথু ফেলিয়া, অবশেষে স্থির হইয়া) খাবে কি ? দেখবে ব্যাটার যে যার জমি বন্ধক রেখে আমাদের কাছেই টাকা ধার করতে ছুটে আসবে। ভাষা, মাথাটা একটু ঠাও কোরে চল । কৰ্ত্তারা এমনি কোরেই বাড়িয়েগুছিয়ে এই যে এক-আধ টুকরো উচ্ছিষ্ট ফেলে রেখে গেছেন, এই আমাদের নেড়েচেড়ে, গুছিয়ে-গাছিয়ে, খেয়ে-দেয়ে আবার ছেলেদের জন্যে রেখে যেতে হবে। ওরা খাবে কি ? ধার-কৰ্জ করে খাবে। নইলে আর ব্যাটাদের ছোটলোক বলেচে কেন ? গোবিন্দ। এ যে মুনি-ঋষিদের শাস্ত্রবাক্য বাবাদী, এ ত আর তোমার আমার কথা নয় । রমেশ । বড়দা, আপনি যখন কিছুই করবেন না স্থির করেচেন তখন তর্ক কোরে আর লাভ নেই। বেশী। না নেই। (রমার প্রতি ) তোমার পীরপুরের আকবর আলি জার \రిఖీ هماس-په