পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ আকবর। ( মাথা নাড়িয়া ) না দিদিঠাকরাণ, ও পারব না। বেণী । ( ধমক দিয়া ) পারবিনে কেন শুনি ? আকবর। (ক্রুদ্ধ-কণ্ঠে ) কি কও বড়বাৰু, সরম নেই মোর ? পাচখানা গায়ের লোকে মোরে সর্দার কয় না ? দিঠিাকরাণ, তুমি হুকুম দিলে আসামী হয়ে জ্যালে যেতে পারি, ফৈরিদি হব কোন কালামুয়ে ? রমা। সত্যিই পারবে না আকবর ? আকবর। না, দিদিঠাকরাণ, আর সব পারি, সদরে গিয়ে গায়ের চোট দেখাতে না পারি। ওঠ রে গহর, এইবার ঘরকে যাই । মোরা লালিস্ করতি পারব না । [এই বলিয়া তাহারা উঠিয়া দাড়াইল ও চলিয়া যাইতে লাগিল ] গোবিন্দ। সত্যিই যে চলে যায় বড়বাবু! কিছুই যে হোলো না ? বেশী। বারণ কর না রম, এমন সুযোগ ফস্কালে যে আর কখনো মিলবে না। [ রমা আধোমুখে নিৰ্ব্বাক হইয়া রহিল, আকবর ও তাহার দুই পুত্র লাঠিতে ভর দিয়া কোনমতে বাহির হইয়া গেল ] বেণী । ও— বোঝা গেছে সমস্ত । গোবিন্দ। স্থ, যা শোনা গেল তা মিথ্যে নয় দেখচি । [ উভয়ের দ্রুতপদে প্রস্থান ] রমা। রমেশদা, এ যে তুমি পারে, এত শক্তি যে তোমার ছিল এ-কথা ত আমি স্বপ্নেও ভাবিনি ! श्रृंक्ष्य छूj [ গ্রামের একাংশ। কয়েকটা ভাঙা মন্দিরের কিছু কিছু দেখা যাইতেছে। বৃক্ষলতা-গুল্মে সমস্ত স্থান সমাকীর্ণ। মনে হয় এদিকে কদাচিং-কখনো কেহ আসে মাত্র ] বেণী ও গোবিন্দের প্রবেশ ] গোবিন্দ। (সচকিতে ইতস্ততঃ দৃষ্টপাত করিষ্কা) কে জানে কোন শালা আবার কোথা দিয়ে শুনবে। যে জাল বিস্তার করে দড়িটি ধরে বসে আছি বাবা, একটুখানি টান দিয়েচি কি অমনি ঝুপ করে পড়েচে । বেণী । হাসিল ত ? গোবিন্দ । নইলে কি আর তোমাকে এই বনের মধ্যে না-হোক ডেৰে এনেচি שסיג