পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমণ গাঙলীমশায়ের কাজ –আচাধ্যিমশাই বরাবর আমাদের দিকে আছেন বলেই তার এই বিপদ । ভৈরব । ই বাবু, তাই আমার এই বিপদ । রমেশ । কিন্তু এর উপায় সরকারমশাই ? গোপাল । অনেক টাকার ব্যাপার। এ ঋণ মিথ্যে, দলিল মিথ্যে, সাক্ষী মিথ্যে, —:ক হয়ত ওঁর নাম লিখে শমন নিয়েচে, কে হয়ত আদালতে গিয়ে কবুল জবাব দিয়েচ, সদরে গিয়ে সমস্ত তদন্ত না করে ত কিছুই বলবার জো নেই। রমেশ । তাই আপনি যান। সমস্ত খরচ নিয়ে যত টাকা লাগে এর প্রতিকার করুন । এমন করুন যেন এত বড় অত্যাচার করতে আর কেউ না সাহস করে । ভৈরব। ( অকস্মাৎ রমেশের পা জড়াইয়া ধরিয়া ) বাৰু গো, আপনি চিরজীবী হোন। ধনে-পুত্রে লক্ষ্মী লাভ করে আপনি রাজা হোন। রমেশ । ( পা ছাড়াইয়া লইয়া ) আপনি বাড়ি যান আচাযিামশাই, যা করা উচিত আমি ক'বুক । ভৈরব । ভগবান যেন আপনাকে— রমেশ | রাত অনেক হ'লো আচাধ্যিমশাই, আজ আমি বড় শ্রাস্ত । ভৈরব । ভগবান যেন আপনাকে দীর্ঘজীবী করেন, ভগবান যেন আপনাকে রাজা করেন— - 變 [ ইত্যাদি বলিতে বলিতে ভৈরবের প্রস্থান ] রমেশ । ( দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া ) সরকারমশাই, এই আমাদের গর্বের ধন। এই আমাদের শুদ্ধশাস্ত ন্যায়নিষ্ঠ বাঙলার পল্লীসমাজ । গোপাল। স্থা, এই। সবাই জানবে এ কাজ বেণীবাবুর, সবাই গোপনে জল্পনা করে বেড়াবে, কিন্তু মুখ ফুটে কেউ এ অত্যাচারের প্রতিবাদ করবে না। সেবার গাঙ্গুলীমশাই বিধবা বড়ভাঙ্গকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিলে, কিন্তু বেণীবাবু সহায় বলে সবাই চুপ করে রইল। সে কেঁদে সকলকে জানালে, সকলেই বললে, আমরা কি কোরব, ভগবানকে জানাও তিনিই এর বিচার করবেন। রমেশ। তার পরে ? গোপাল। তার পরে সেই গাঙ্গুরীমশাই-ই সকলের জাত মেরে বেড়াচ্চেন। মৃত পল্লীসমাজ কথাটি বলবার সাহস রাখে না। অথচ, আমিই ছেলেবেলায় দেখেচি বাবু, এমনধারা ছিল না। বিধবা বড়ভাজের গায়ে হাত দিয়ে কেউ সহজে নিস্তার পেত না । তখন সমাজ দণ্ড দ্বিত, এবং সে দণ্ড অপরাধীকে মাথা পেতে নিতে হতে । রমেশ। তবে কি পল্লীসমাজ বলে কিছুই আর নেই ? - গোপাল। যা আছে সে ত এসে পর্যন্ত স্বচক্ষেই দেখচেন । যা জাৰ্ত্তকে 》 و هسته