পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপ্রদাস বনানা হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, আমার মেজদিও না ? দ্বিজদাস বলিল, না, আপনার মেজদিও না । ভয়ানক বদরাগী বুঝি ? না, তাও না । ইংরেজীতে যে অ্যারিস্টোক্র্যাটু বলে একটা কথা আছে, আমার দাদা বোধ করি কোন জন্মে তাদেরই রাজা ছিলেন। অন্ততঃ আমার ধারণ তাই । বদরাগী কি না জিজ্ঞাসা করছিলেন ? কোনরকম রাগারাগি করবার তার অবকাশ হয় না বন্দনা কহিল, দাদার ওপর আপনার ভয়ানক ভক্তি ? না ? দ্বিজদাস চুপ করিয়া রহিল। খানিক পরে বলিল, এ কথার জবাব যদি কখনো সম্ভব হয় আপনাকে আর একদিন দেব। বদন সবিস্ময়ে কহিল, তার মানে ? দ্বিজদাস ঈষৎ হাসিয়া বলিল, মানে যদি এখনই বলি আর একদিন জবাব দেবার প্রয়োজন হবে না। আজ থাক্। মস্ত লাইব্রেরী। যেমন মূল্যবান আলমারি টেবিল চেয়ার প্রভৃতি আসবাব, তেমনি স্বগৃঙ্খলায় পরিপাটি করিয়া সাজান । পল্লীগ্রামে এত বড় একটা বিরাট কাণ্ড দেখিয়া বন্দন আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল। বোম্বাই শহরে এ বস্তুর অভাব নাই, সে তুলনায় এ হয়ত তেমন কিছু নয়, কিন্তু পল্লীগ্রামে বাস করিয়া কোন একজনের নিছক নিজের জন্যে এত অধিক সঞ্চয় সত্যই বিস্ময়ের ব্যাপার। জিজ্ঞাসা করিল, বাস্তবিক এত বই দাদা পড়েন না কি ? দ্বিজদাস বলিল, পড়েন এবং পড়চেন। আলমারি বন্ধ নয়, কোন একটা বই খুলে দেখুন না, তার পড়ার চিহ্ন হয়ত চোখে পড়বে। এত সময় পান কখন ? দিন রাত শুধু এই-ই করেন না কি ? দ্বিজু ঘাড় নাড়িয়া কহিল, না। অন্ততঃ আমি ত জানিনে। তা ছাড়া আমাদের বিষয়-সম্পত্তি ভীষণ কিছু একটা না হলেও নিতাস্ত কমও নয়। তার কোথায় কি আছে এবং হচ্চে দাদার চোখের ওপর । কেবল আজ বলে নয়, বাবা বেঁচে থাকতেও এই ব্যবস্থাই বরাবর আছে। সময় পাবার রহস্ত আমিও ঠিক খুঁজে পাইনে, আপনার মত আমার বিস্ময়ও কম নয়, তবে শুধু এই ভাবি ষে জগতে মাঝে মাঝে দু-একজন জন্মায় তারা সাধারণ মানুষের হিসেবের বাইরে। দাদা সেই জাতীয় জীব। আমাদের মত হয়ত এদের কষ্ট করে পড়তেও হয় না, ছাপার অক্ষর Yগণের মধ্যে দিয়ে আপনিই লি গজে ছাপ মেরে দেয়। কিন্তু দাদার কথা So eسایه