পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ মরোত্তম। তবে লাঠিগাছটা আমার হাতে দিয়ে তুই সরে দাড়া। দেখি আমি কি করতে পারি। জগন্নাথ। অমন কথা তুই বলিনে নক্ল। তোর ছেলে-পুলে আছে, কিন্তু আমার নেই। এই আমার সময় । ছোটবাবু ফিরে এলে আর হবে না, তিনি হাত চেপে ধরবেন । তাই তার জেল থেকে বেরোবার আগেই তার শোধ নিয়ে আমি জেলে গিয়ে ঢুকবো। তুই ঘরে যা । নরোত্তম। ঘরে যাব না, কাছেই থাকব জগা । [ নরোত্তমের প্রস্থান। অপর দিক দিয়া গোবিন, বেণী ও দারোয়ানের প্রবেশ। হাতে তাহার লণ্ঠন ] বেণী । ( চমকিয় ) দাড়িয়ে কে রে ? জগন্নাথ । আমি জগন্নাথ । গোবিন । পথে দাড়িয়ে লোক ভাঙান হচ্চে, কেউ না খেতে যায়। না রে হারামজাদা ? জগন্নাথ। গাল দিয়ে না বলচি গাঙ লীমশাই। বেণী । গাল দেবে না হারামজাদা—শালা ! কাল চাল কেটে ভিটেয় সরবে বুনে দেব জানিস্ ? জগন্নাথ। অনেকের দিয়েচ জানি, কিন্তু আর না দিতে পার আমি তার ব্যবস্থা কোরে যাব । বেণী । কি ব্যবস্থা করবি রে হারামজাদা ? শুনি ? [এই বলিয়া সে অগ্রসর হইয়া গেল ] জগন্নাথ । এই যে ব্যবস্থা । { এই বলিরা সে বেণীর মাথায় সজোরে লাঠির আঘাত করিল ] বেণী । ( বসিয়া পড়িল ) বাবা রে! গেছি রে বাবা ! [ গোবিন ও দারোয়ান চীৎকার করিয়া দ্রুতপদে পলায়ন করিল ] বেণী। তোর পায়ে পড়ি বাবা, জগন্নাথ, ব্ৰহ্মহত্যা করিস্নে। দোহাই বাবা, তোকে দশ বিধে জমি দেব । জগন্নাথ ! জমি তোমার চাইনে—সে তোমার থাক। ব্ৰহ্মহত্যাও করব না ! বেণী । আজ থেকে তোর সঙ্গে বাপ-ব্যাটা সম্পর্ক জগন্নাথ—ষা চাইবি তুই— জগন্নাথ। কিছুই চাইব না । কিন্তু বাপ-ব্যাটার সম্পর্ক তোমার সঙ্গে ? ছিঃ ! আর সাবধান করে দিচ্চি বড়বাৰু, এই মারই তোমার শেষ মার নয়। বাবু বোলে, বামুন ৰোলে যতই সত্ত্বেচি, ততই অত্যাচার বেড়ে গেছে। আর আমরা সইব না। দেখি তোমরা সিধে হও কি না ! [ প্রস্থান ] १●á