পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ নেত্যকালী এতটুকু হইয়া গিয়া মনে মনে বলিতে লাগিল, জানি না বাপু সব বিষয়ে ষে মাহবের এত বুদ্ধি, এত ধৈৰ্য্য, সে কেন এতটুকু কথা বুঝতে পারে না ? অার শাসন ত ভারী। ছেলে এক মিনিট এক-পায়ে দাড়িয়ে কেঁদেচে ত পৃথিবী রসাতলে গেছে ! - দাদার সঙ্গে বসিয়া আহার করিতে রাম একেবারে পছন্দ করিত না । জাজ রাত্রে ইচ্ছা করিয়া নারায়ণী দুই ভাইয়ের খাবার পাশাপাশি দিয়া অদূরে বসিয়াছিলেন। রাম ঘরে ঢুকিয়াই লাফাইয়া উঠিল। যাও, আমি খাব নী—কিছুতেই খাব না । নারায়ণী বলিলেন, তবে শুগে যা। র্তাহার গম্ভীর কণ্ঠস্বরে রামের লাফানি বন্ধ হইল, কিন্তু সে খাইতে বলিগ না-চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। রান্নাঘরের আর একটা দরজা দিয়া খামলাগ ঘরে ঢুকিতেই রাম ঝড়ের মত বাহির হইয়া গেল। খামলাল ধীরে-সুস্থে থাইতে বসিয়া বলিলেন, রেমে খেলে ন যে ? নারায়ণী সংক্ষেপে বলিলেন, ও আমার সঙ্গে থাবে। আহার শেষ করিয়া হামলাল চলিয়া যাইবামাত্র রায় এক-মুঠ ছাই লইয়া ঘরে ঢুকিয়া বলিল, আমি কাউকে খেতে দেব না—সকলের পাতে ছাই দেব-দিই ? নারায়ণী মুখ তুলিয়া বলিলেন, দিয়ে একবার মজা দেখ না । রার্ম ছাই-মুঠা হাতে করিয়া স্বর বদলাইয়া বলিল, ভারি মজা, সকালবেলা ঠকিয়ে ভাত খাইয়ে দিয়ে এখন মজা দেথ না । - তুই খেলি কেন ? তুমি যে বললে রাত্তিয়ে— বুড়ে খোকা, পরের হাতে খেতে তোর লজ্জা করে না ? : রাম আশ্চৰ্য্য হইয়া বশিল, পরের হাতে কোথায় ! তুমি যে বললে । নারায়ণী আর তর্ক না করিয়া বলিলেন, আচ্ছ, যা-ছাই ফেলে দিয়ে হাত ধুয়ে আয়। কিন্তু আর কোনদিন খেতে চাস । খাওয়ানো তখনো শেষ হয় নাই, নৃত্যুকালী বিনা প্রয়োজনে একবার দরজার সম্মুখ দিয়া ভিতরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া ও-দিকের বারান্দায় চলিয়া গেল। নারায়ণা দেখিয়া বললেন, রাম, কখনও কি একটু শান্ত হবিনে ভাই। ভগবান কোনদিন কি তোর একটু স্বমতি দেবেন না? লোকের কথা যে আমি আর সন্থ করতে পাঞ্জিনে । রাম মূখের ভাত গিলিয়া বলিল, কে লোক, তার নাম বল। ՀԵ*