পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ না? আশ্চৰ্য্য ! একটুখানি থামিয়া দ্বিজদাস বলিল, এক আমি ছাড়া আপনার ছোয়া জল পৰ্য্যন্ত খাবার লোক এ-বাড়িতে কেউ নেই। কিন্তু দাদা ? মেজদি ? না, তিনিও না। আমরা চলে গেলে তবুও হয়ত দুদিন এখানে থাকতে পারেম, কিন্তু মা থাকতে একটা দিনও আপনার এ-বাড়িতে থাকা চলে না। বন্দনার মুখ ফ্যাকাশে হইয়া গেল—সত্যি বলচেন ? সত্যিই বলচি । ঠিক এমনি সময়ে নীচের সিড়ি হইতে সতীর ডাক শোনা গেল, ঠাকুরপো! বন্দনা ! তোমরা দুটিতে করচ কি ? যাচ্চি বোঁদি, সাড়া দিয়া দ্বিজদাস দ্রুতপদে প্রস্থান করিতে উদ্যত হইল,বন্দনা পাংশুমুখে চাপা-কণ্ঠে শুধু কহিল, এত কথা আমি কিছুই জানতুম না। ধন্যবাদ। V. বন্দন নীচে আসিয়া দেখিল পিতা হৃষ্টচিত্তে আহারে বসিয়াছেন। সেই বসিবার ঘরের মধ্যেই একখানি ছোট টেবিলের উপর রূপার থালায় করিয়া খাবার দেওয়া হইয়াছে। একজন দীর্ঘাকৃতি অতিশয় স্থঐ ব্যক্তি অদূরে দাড়াইয়া আছেন, তাহার দেহের শক্তিমান গঠন ও অত্যন্ত ফর্ম রং দেখিয়াই বন্দনা চিনিল যে ইনিই বিপ্রদাস । সতী সঙ্গেই আসিতেছিল, কিন্তু সে প্রবেশ করিল না, দ্বারের অন্তরালে দাড়াইয় প্রণাম করিতে ইঙ্গিত করিয়া জানাইল যে, ই ইনিই । বাঙালীর মেয়েকে ইহা শিখাইবার কথা নহে এবং ইতিপূৰ্ব্বে মাকে যেমন সে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিয়াছিল বড় ভগিনীপতিকে তাহাই করিত কিন্তু হঠাৎ কেমন যেন তাহার সমস্ত মন বিদ্রোহ করিয়া উঠিল। ইহার অনন্যসাধারণ বিদ্যা ও বুদ্ধির বিবরণ দ্বিজদাসের মুখে না শুনিলে হয়ত এই প্রচলিত শিষ্টাচার লঙ্ঘন করিবার কথা তাহার মনেও উঠিত না, কিন্তু এই পরিচয়ই তাহাকে কঠিন করিয়া তুলিল। দিদির २२